সংক্ষিপ্ত
- আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়ল কংগ্রেস
- পশ্চিমবাঙলায় শূন্যতার পাশাপাশি কেরলে হতাশা
- অসমেও ব্যর্থ কংগ্রেস
- একমাত্র জয় তামিলনাড়ুতে। সেটাও ডিএমকের হাত ধরে
একের পর এক নির্বাচনে হারের ধারা এবার বিপর্যয়ে পরিণত। ২০১৯ লোকসভা ভোটের পর একেবারে হারিয়ে যাওয়া কংগ্রেস আবার বড় হারের মুখে পড়ল। কংগ্রেসের কাছে ফিরে আসার ভাল মঞ্চ ছিল পাঁচ রাজ্যের ভোট। কেরলে পাঁচ বছরের ফর্মুলা মেনে ফেরার কথা ছিল কংগ্রেসের। অসম একটা সময় ছিল কংগ্রেস দুর্গ, সিএএ এনআরসি নিয়ে পালে হাওয়ায় ছিল বিরোধীদের। পুদুচেরিতেও ক্ষমতা ছিল কংগ্রেসেরই হাতে। কিন্তু কোথায় কী! বাংলায় শূন্যতা, অসমে হতাশা, কেরালায় দৈনতায় শেষ হল কংগ্রেসের নির্বাচন। তবে সবচেয়ে হতাশার হল কেরলে হার। ২০১৯ লোকসভায় আমেথিতে থেকে হেরে গেলেও কেরলের ওয়ানড মান বাঁচিয়েছিল রাহুল গান্ধী। সেইখানেই আবার বিপর্যয়। সহজ অঙ্কেই কেরলে কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসার কথা। গত ৪০ বছর ধরে যা হয়ে আসছে। ২০১৬-তে কংগ্রেসকে হারিয়ে কেরলে ক্ষমতায় আসে বাম দল।
তার আগে এলডিএফ-কে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। এর আগেও নির্বাচনগুলিতেও এক ছবি। একবার এরা জিতলে পরের বার পরিবর্তন হয় কেরলে। কিন্তু এত সহজ একটা হিসেবও মেলাতে পারল না কংগ্রেস। ২০১৯ লোকসভায় ২০টি আসনের মধ্য়ে ১৯টি-তে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। অথচ লোকসভায় এত বড় জয়ের মাত্র ২ বছর পর বিধানসভায় জিততে পারল না কংগ্রেস। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে রাহুল গান্ধী সবেচেয়ে সময় দিয়েছিলেন কেরলেই। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ১৪০ আসনের কেরল বিধানসভায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বামদলগুলির এলডিএফ জয়ী/এগিয়ে ৯৩টি আসনে, সেখানে কংগ্রেস ও তাদের শরিকদের নিয়ে গড়া ইডিএফ জয়ী/এগিয়ে ৪৩টি আসনে।
কংগ্রেসের কাছে একমাত্র ভাল খবর তামিলনাড়ু। ডিএমকে-র শরিক দল হয়ে লড়ে তামিলনাড়ুতে ক্ষমতায় ফিরছে কংগ্রেস। অবশ্য ২৩৪টি আসনের মধ্যে ১৪১টি আসনে জয়ী/এগিয়ে ইউপিএ। এই জয়ের সিংহভাগ কৃতিত্বই ডিএমকে-র। বাংলায় একেবারে ভরাডুবি থেকে কেরলের হতাশা। আরও হতাশায় ডুবে গেল কংগ্রেস। আরও একবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ল সোনিয়া-রাগুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন।