সংক্ষিপ্ত
- সনিয়া গান্ধীর ডাকা বিরোধী বৈঠকে ছিলেন বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট
- তাও না দমে মোদী-শাহ'কে আক্রমণ করে গেলেন কংগ্রেস সভাপতি
- আনলেন সংবিধান লঙ্ঘন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ
- যদিও কোনও যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করা হল না
ভয়ে স্তম্ভিত হয়ে দেখছে গোটা দেশ। সংবিধান লঙ্ঘন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুখ ঢেকে হামলা - যা খুশি করে যাচ্ছে বিজেপি। সংসদের অ্যানেক্স বিল্ডিং-এ কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলের বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই কথাই বললেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।
এদিন অবশ্য মমতা, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, এমকে স্টালিন, কেজরিওয়ালদের মতো হেভিওয়েট নেতারা বৈঠকে যোগ না দেওয়ার প্রথমেই সুর কাটে। বৈঠক হল কংগ্রেস, এনসিপি, বামদল, আইইউএমএল, আরজেডি, এইউডিএফ-এর মতো মোট ২০টি দলের। বৈছক শেষে অবশ্য কোনও যৌথ কর্মসূচির কতা ঘোষণা করা হয়নি।
আরও পড়ুন - বিজেপি বিরোধিতায় বড় ফাটল, মমতা ছাড়াও সনিয়ার নৌকায় উঠলেন না পাঁচ হেভিওয়েট
বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরায় অবশ্য সনিয়া দমেননি। এদিনই জেএনইউ-এর হিংসায় জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত ৯ জনকে তদন্তে সহায়তার জন্য ডাকা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৭ জনই বাম সংগঠনের। সনিয়া কিন্তু একেবারে চাঁছাছোলাভাবে বলে দিলেন, জেএনইউ, জামিয়া, বিএইচইউ, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, এএমইউ-সহ দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলার পিছনে হাত বিজেপিরই।
শুরুতেই জানিয়ে দেন, মোদী সরকার বিদ্বেষ ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভক্তি কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সারাদেশে এক অভূতপূর্ব অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সংবিধান লঙ্ঘন করছে এই সরকার। প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। আর এর বিরুদ্ধেই খেপে উঠেছে যুব সমাজ। তাঁদের পিছনে রয়েছে নাগরিকদের সমর্থন। একইসঙ্গে সিএএ এবং এনআরসি বিরোধীতার ক্ষেত্রে সরকার পুলিশ দিয়ে দম নীতি প্রয়োগ করছে বলে অভিয়োগ করেন তিনি। পুলিশের ভূমিকা পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করেন।
সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলেও সরাসরি আক্রমণ করেন সনিয়া গান্ধী। কয়েক সপ্তাহ আগের বক্তব্যই পরে পাল্টে ফেলছেন তাঁরা। উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। একই সঙ্গে চলচে রাষ্ট্রীয় দমননীতি।