সংক্ষিপ্ত
সারা বিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। ভারতেও অত্যন্ত জনপ্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু ভারতে অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপের অপব্যবহার করছেন।
এ বছরের ১ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ভারতে ৭১ লক্ষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা অ্যাকাউন্টের অপবহ্যবহার করেছেন এবং নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। এই কারণে অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অনেক ভুয়ো খবর, ভুয়ো বার্তা, গুজব ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিও অনেকবার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছে। যাতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে উস্কানিতে ইন্ধন না জোগানো যায়। এবার হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষই কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রতি মাসেই নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপে কঠোর নিয়ম
হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছরের এপ্রিলে মোট ৭১,৮২,০০০ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩,২,০০০ অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ জানানোর আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা গুরুতর নিয়ম লঙ্ঘন করলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সেটাই করা হয়েছে। কোনও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী অন্যদের গালিগালাজ বা বিরক্ত করছেন কি না, সে ব্যাপারে নজর রাখার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সন্দেহভাজন ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করার জন্য অ্যাডভান্সড মেশিন লার্নিং ও ডেটা অ্যানালিটিক্স কাজে লাগানো হয়। এ বছরের এপ্রিলে ১০,৫৫৪টি অভিযোগ পেয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। অ্যাকাউন্ট সাপোর্ট, প্রোডাক্ট সাপোর্ট, অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার আবেদন, সুরক্ষা নিয়ে আবেদনের মতো অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগগুলির ক্ষেত্রেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভারতের আইন মেনেই ব্যবস্থা
হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতে ২০২১ সালে যে তথ্য-প্রযুক্তি আইন জারি করা হয়েছে, সেই আইনে ডিজিট্যাল মিডিয়ার নীতি সম্পর্কে যা নিয়ম চালু করা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-