সংক্ষিপ্ত
- গায়ে গায়ে স্বাধীনতা দিবস পাকিস্তান ও ভারত দুই দেশের
- রীতি মেনে পরপর দুইদিন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ভাষণ দিলেন জাতির উদ্দেশ্যে
- ইমরান খান শুধু ভারত-নিন্দাতেই মুখর হলেন
- নরেন্দ্র মোদী বললেন ভারতের বিকাশের কথা
অগাস্ট মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখ - গায়ে গায়ে স্বাধীনতা দিবস পাকিস্তান ও ভারত দুই দেশের। রীতি মেনে বুধবার পাক নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিয়েছেন ইমরান খান, আর বৃহস্পতিবার লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মিলটা এই পর্যন্তই। কিন্তু ইমরান খান তাঁর ৫০ মিনিটর বক্তৃতার অধিকাংশটাই যেখানে ব্যয় করলেন ভারতের নিন্দায়, সেখানে নরেন্দ্র মোদী বললেন বিকাশের কথা। ভারতের উন্নয়নে তাঁর স্বপ্নের কথা। আর তাতেই দুই দেশের মধ্য়ে তফাতটা স্পষ্ট হয়ে গেল।
সম্প্রতি ভারত সরকার কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে। পাকিস্তানব এইবার তাদের স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে, 'কাশ্মীরের প্রতি সহমর্মিতা দিবস' হিসেবে। ইমরান খানও তাঁর বক্তৃতায় বিজেপি ও আরএসএস-এর সমালোচনাতেই বেশি জোর দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন কাশ্মীরে ভারত বেআইনি আগ্রাসন দেখাচ্ছে। তাঁর মতে, শুধু ৩৭০ ধারা বাতিল করাই নয়, কাশ্মীরে আরও বড় পদক্ষেপের জন্য তৈরি হচ্ছে ভারত সরকার।
পাক প্রধানমন্ত্রী বকলমে মেনেও নেন পুলওয়ামার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে ভারতের আকাশপথে হামলা পাকিস্তানকে চিন্তায় ফেলেছে। তাঁর অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি বাপাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি উপস্থিতি নিয়ে একটিও শব্দ খরচ করেননি ইমরান। বদলে তিনি সমালোচনা করেছেন আরএসএস ও বিজেপির ঘৃণা-রাজনীতি নিয়ে।
ইমরান আরও বলেন এই ঘৃণা-রাজনীতিরই ফল ভারতের একের পর এক গণহিংসার ঘটনা। দাবি করেন, নাৎসি জার্মানীর মতোই ভারতে বিদজেপি আরএসএস-এর বিরুদ্ধে যাঁরাই মুখ খুলছেন, তাঁদের গায়েই দেশদ্রোহীর তকমা এঁটে দেওয়া হচ্ছে। অথছ ইমরানের বিরুদ্ধেই পাকিস্তানের বিরোধী নেতাদের ধরে ধরে জেলে পোরার অভিযোগ রয়েছে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু সেই পথে হাঁটেননি। বস্তুত লালকেল্লা থেকে দেওয়া ৯০ মিনিটের ভাষণে মোদী একবার পাকিস্তানের নাম পর্যন্ত উল্লেখ করলেন না। বরং তিনি জানালেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসে জোর দেওয়া হবে ভারতীয়দের প্রত্যাশা পূরণে। জল জীবন মিশনের মাধ্যমে প্রত্যেক ভারতীয়ের বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নির কথা জানিয়েছেন।
শুধু জল জীবন মিশনই নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ভারতের উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু বিষয়কে ছুঁয়ে গিয়েছেন। আশা দেখিয়েছেন নতুন ভারত গড়ে তোলার। জোর দিয়েছেন, ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করার উপরে। ডিজিটাল অর্থনীতির বৃদ্ধির উপরও জোর দিয়েছেন, সেই সঙ্গে একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিকের ব্।বহার নিয়েও দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন।
পাকিস্তানের কথা না বললেও মোদীর বক্তৃতায় সন্ত্রাসবাদ দমন ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি। প্রধানমন্ত্রীর মতে ৩৭০ ধারা থাকায় কাশ্মীরে দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, মহিলা, শিশু, দলিত, আদিবাসীদের অধিকার লঙ্ঘন বাড়ছিল। নতুন ব্যবস্থায় উপত্যকায় লগ্নি বাড়বে, অর্থনৈতির বৃদ্ধি ঘটবে। সন্ত্রাসবাদ দমনে সব দেশকে এক হগয়ে লড়ার এবং যারা সন্ত্রাসবাদে মদত দেয় তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।