সংক্ষিপ্ত

চম্পাই সোরেন ঝাড়খণ্ড বিধানসভার সদস্য। বর্তমানে তিনি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা পার্টি থেকে সেরাকেলা বিধানসভা আসনের বিধায়ক। 

ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন চম্পাই সোরেন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পর এই পদক্ষেপ নিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। চম্পাই হেমন্ত সোরেনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলে জানা গেছে। বর্তমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন চম্পাই। জেএমএম ছাড়াও কংগ্রেসও সরকারে মিত্র ছিল। চম্পাই সরেন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

চম্পাই সরেন কে?

চম্পাই সোরেন ঝাড়খণ্ড বিধানসভার সদস্য। বর্তমানে তিনি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা পার্টি থেকে সেরাকেলা বিধানসভা আসনের বিধায়ক। ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে, তিনি হেমন্ত সোরেন সরকারের পরিবহণ, তফসিলি উপজাতি এবং তফসিলি জাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগের দায়িত্ব পালন করছিলেন। চম্পাই ১৯৭৪ সালে রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুল, জামশেদপুর থেকে ১০ম শ্রেণী পড়াশোনা করেন।

'ঝাড়খণ্ড টাইগার' নামে পরিচিত

বিহার থেকে যখন আলাদা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দাবি উঠছিল, তখন চম্পাইয়ের নাম খবরে উঠে আসে। শিবু সোরেনের সঙ্গে চম্পাইও ঝাড়খণ্ডের আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। এর পরই লোকে তাকে 'ঝাড়খণ্ড টাইগার' বলে ডাকতে শুরু করে।

জেএমএমের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে চম্পাই সোরেনের নাম রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাকে হেমন্ত সোরেনের ঘনিষ্ঠ মনে করা হয়। আলাদা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গ্রেপ্তার নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যে চম্পাই সোরেনকে রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

গত এক সপ্তাহ ধরে ঝাড়খণ্ড রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। ইডি এবং হেমন্ত সোরেনের মধ্যে লুকোচুরির খেলা চলছিল। এদিকে, আজ বিকেলে ইডি অফিসার জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মানি লন্ডারিং মামলায় সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন, যার পরে রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে একটি বিশাল রাজনৈতিক নাটক শুরু হয়। বিষয়টি বেগ পেতে দেখে প্রশাসন তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা কর্মীরা কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।