সংক্ষিপ্ত
সংসদে রীতিমত আক্রমণাত্মক মহুয়া মৈত্র। দেশের অর্থনীতি নিয়ে বসতে উঠে বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন। একের পর এক তথ্য তুলে প্রশ্নের জবাব চান তৃণমূল সাংসদ।
কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনীতি পরিচালনাকে তুলোধনা করে মঙ্গলবার সংসদে 'এখন পাপ্পু কে?' এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ২০২২-২৩ এর জন্য অতিরিক্ত অনুদানের দাবিতে একটি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। সেখানেই তিনি বলেন, 'এই সরকার ও শাসক দল পাপ্পু শব্দটি তৈরি করেছে। আপনি এটিকে নিন্দিত করতে ও চরম অযোগ্যতার পরিচয় দিতে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু পরিসংখ্যান আমাদের বলে আসল পাপ্পু কে।'
মহুয়া মৈত্র এদিন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি সম্পর্কে মিথ্যা ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন দেশের অর্থনীতি নিম্নমুখী। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণরে দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে আবেদন জানিয়েছেন। জাতীয় পরিসংখ্যন অফিস থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য উল্লেখ করে মহুয়া মৈত্র দাবি করেছেন দেশের শিল্প উৎপাদন অক্টোবর মাসে চার শতাংশ হ্রাস পেয়ে গচ ২৬ মাসের মাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে । তিনি বলেছেন উৎপাদন খাত এখনও সবথেকে বড় কর্মসংস্থান তৈরি করে- এটি ৫.৬ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে বলেছেন শিল্প উৎপাদনের সূচককে - যা নম্নগামী। তিনি বলেছেন, এক বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৭২ বিলিয়ন ডলার কমেছে।
কথা প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র এদিন সংসদে হিমাচল প্রদেশের বিজেপির হারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। বলেন, 'শাসক দলের সভাপতি নিজের রাজ্য ধরে রাখতে পারেননি এখন পাপ্পু কে?' হিমাচল প্রদেশ হল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার হোম স্টেট।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সোমবার প্রশ্নত্তোরকালে বলেছিলেন কীভাবে উদীয়মান বাজারে বিদেশী প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৫০ শতাংশ প্রবাহ বেড়েছে। কিন্তু সরকার শুক্রবারই একটি প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিল প্রায় ২ লক্ষ মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাড়ে ১২ লক্ষেরও বেশি মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে মহুয়া মৈত্র জানতে চান- এটা কি কোনও সুস্থ অর্থনীতির লক্ষণ? তারপরই তিনি বলেন এখন পাপ্পু কে ? মহুয়া মৈত্র আরও অভিযোগ করেন দেশে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ শাসকদল জনপ্রিতিনিধি কেনা বেচার খেলা শুরু করেছে। তাতে যারা রাজি হচ্ছে না তাদের কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে ভয় দেখান হচ্ছে।
মহুয়া মৈত্রের এই মন্তব্যের প্রতিবাদে বিজেপি সদস্য জগদম্বিকা পাল পর্যবেক্ষণ করেছেন। বলেথেন যা চেয়ার থাকা রাজেন্দ্র আগরওয়াল বলেছিলেন রেকর্ড করা যাবে না। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর অধীনে ভারত বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন যদি কেউ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তা হল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০২৪ সালে বিজেপি আবারও কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার বিষয়ে আশাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
তাওয়াং সংঘর্ষ নিয়ে মুখে কুলুপ চিনা বিদেশ মন্ত্রকের, সেনা বাহিনীর জারি করা বিবৃতির সঙ্গে নেই মিল