সংক্ষিপ্ত

  • পরবর্তী দলাই লামা নিয়ে তৎপরতা 
  • চিন ও ভারতের মধ্যে বিবাদ 
  • পিছিয়ে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও 
  • দলাই লামাও হাত গুটিয়ে বসে নেই 

দলাই লাম- তিব্বতিদের বিশ্বাসে তিনি জীবীত বুদ্ধ। তাঁর মৃত্যু নেই। তিনি পুনজন্মের মাধ্যমে তিনি অবিনঃশ্বর। সেই দলাই লামা নির্বাচনকে কেন্দ্রে করে এবার যুদ্ধের ময়দানে ভারত চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

তেনজিন গায়াতসো, ১৪ তম দলাই লামা। তিব্বত্তিদের ধর্মগুরু। ১৯৯৫ সালে চিন সেনা পাঠানোর পরই তিনি ভারতে পালিয়ে আসেন। তারপর থেকেই দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। আগামী জুলাইতেই ৮৬ বছরে পা দেবেন তিনি। কিন্তু ইতিমধ্যেই তাঁর উত্তরসূরী খুঁজতে রীতিমত তৎপর ভারত, চিন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে নিজেদের ধর্মীয় গুরু নির্বাচনের বিষয়টি আর তিব্বতের পাহাড় ঘেরা মরুভূমির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। দেশকালের গণ্ডি পেরিয়ে তা পৌঁছে গেছে ভিন দেশে। তিব্বতি ধর্মগুলি নির্বাচনের বিষয়টি খুব একটা সহজ নয়। এটি জটিলও। মাত্র ২ বছরের কোনও শিশুকেই ধর্মগুরু হিসেবে নির্বাচন করা হয়। তবে এই প্রক্রিয়াটিও যথেষ্ট দীর্ঘ। 


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্তাদের পাশাপাশি নিরাপত্তা আধিকারিকরাও ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন তিব্বতের পরবর্তী ধর্মগুরু নির্বাচন কী ভাবে প্রভাবিত করবে ভারত। সূত্রের খবর ধর্মশালা শহরে তিব্ব সরকার নির্বাসনের ব্যবস্থা করে। ২০০৩ সালে কেবল তিব্বতকে চিনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সেই আবেদনে কোনও সাড়া দেয়নি। চিনের সঙ্গে হিমালয় সীমান্তে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল, মহল ও স্কুল থেকে সিনিয়র বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের পাঁচটি আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা গত ২ হাজার বছরের ইতিহাসে বিরল ঘটনা বলেও দাবি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমান ওই দলটি দলাই লামার উত্তরসূরিকে বৈধতা দেবে।  

করোনার দাপটে তিন দফার ভোট কি হতে পারে এক দফায়, আলোচনায় নির্বাচন কমিশন ...
১৯৫৯ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বর্তমান দলাই লামাকে চিন থেকে বেরিয়ে যেতে ও উত্তর ভারতে প্রবেশ করতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু সেই সময় বর্তমান দলাই লামা তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করেননি। সেই সময় তিনি বলেছিলেন তাঁর যখন ৯০ বছর বয়স হবে তখনই তিনি পরবর্তী ধর্মগুরু নির্বাচন করবেন। সেই নবনির্বাচিত ধর্মগুরুর হাতেই ৬০০ বছরের প্রাচিন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। 

দলাই লামার অফিস সূত্রের খবর পরবর্তী ধর্মগুলি সম্ভবত তিব্বতের বাইরে পুনর্বার জন্মগ্রহণ করবেন। সম্ভবত ভারতে। তবে চিন চাইলে নিজস্ব ধর্মগুরু নিয়োগ করতে পারে। তবে নির্বাচনের কোনও বৈধতা নেই। দলাই লামার অফিস সূত্রের খবর চিন সরকারের সঙ্গে দলাই লামার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিল না কোনও কালেই। সরকার বারবার দলাই লামাকে চিব্বতে ফিরে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তা সম্ভব হয়নি। ২০০৭ সালে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে চিন সরকার জানিয়েছেন বিদেশী হস্তক্ষেপ বা প্রভাব ছাড়াই তিব্বতি ধর্মগুরু নির্বাচন করা উচিৎ। 

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে দুটি বার্তা, ভোটের মরশুমে বাংলার মত জয় করতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী ..

প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তিব্বত নীতি পেশ করেছিলেন। যা এখনও পর্যন্ত বাতিল করেননি জো বাইডেন। এই নীতিতে তিব্বতি ধর্মগুরু নির্বচন  একান্ত তিব্বতিদের বিষয়। জো বাইডেনও বলেছেন এই বিষয়ে চিন সরকারেরও কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না। 

নতুন বছরে করোনাভাইরাসের করাল চোখ, দ্বিতীয় তরঙ্গে আমেরিকার থেকেও দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ ..

দলাই লামা একটি মিথ্য। দলাই লামা এক অনুগামী বলছেন কোনও বিদেশী সংস্থা বা ব্যক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়াই পরবর্তী ধর্মগুরু বেছে নেওয়া হবে। তবে দলাই লামাকে অবস্যই চিন সরকারের থেকে জীবিত সরকারের অনুমতি নিতে হবে। কারণ রীতি অনুযায়ী চিন সরকার বা সম্রাটের অনুমোদন প্রয়োজন হয় এক্ষেত্রে। প্রথম অনুমোদন দিয়েছিলে টিয়াং কাই শেক। ১৯৪৮ সাল থেকে এই অনুমোদন প্রদান করার ক্ষমতা চিন সরকারের হাতেই রয়েছে। 

YouTube video player