সংক্ষিপ্ত
ভোটদানের মূল কথা হল আঙুলে কালি লাগানো। ভোট দেওয়ার পর আঙুলে লাগানো এই কালি নিয়ে বেশ উৎসাহ রয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। করাণ এই কালি একেবারেই সাধারণ নয়।
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ সালের দ্বিতীয় দফার ভোট আজ অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফায় মণিপুর সহ ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই পর্বে ভোটাররা মোট ৮৮টি আসনে তাদের ভোট দেবেন। দ্বিতীয় ধাপে ১২০২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করা হবে।
ভোটদানের মূল কথা হল আঙুলে কালি লাগানো। ভোট দেওয়ার পর আঙুলে লাগানো এই কালি নিয়ে বেশ উৎসাহ রয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। করাণ এই কালি একেবারেই সাধারণ নয়। যে কালি আঙুলে ভোটদানের পরে লাগানো হয়, খেয়াল করে দেখবেন দু তিনদিন পরেই একই অবস্থায় থেকে যায় সেটি। জল, সাবান, তেল, কোনও কিছুর সাহায্যেই এটি তোলা যায় না চট করে। ফলে এই কালির রহস্য রীতিমতো রহস্যজনক।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার আপনার আঙুলে লাগানো হয় কালো রঙের কালি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা রং পরিবর্তন করে হয়ে যায় নীল। আজকের এই প্রতিবেদন ভোটের কালি নিয়ে। জানেন কী কীভাবে তৈরি হয় ভোটের কালি।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে ভোটের এই রহস্যময় কালি কী দিয়ে তৈরি হয়, কেন তা একবার লাগালে সহজে ওঠে না? জেনে রাখুন তাহলে গোপনভাবে বানানো হয় এই ভোটের কালি। শুধু এইটুকু জানা গিয়েছে যে এই কালিতে সিলভার নাইট্রেট থাকে। যা আঙ্গুলে লাগানোর পরই চামড়ার তলার নুনের সংস্পর্শে এসে স্থায়ী হয়ে বসে যায়। রোদের আলো পড়লে তা আরও চেপে বসে।
এরই সঙ্গে ওই কালির মধ্যে মেশানো থাকে বেশ কিছুটা পরিমাণে অ্যালকোহল। তার ফলে এটা খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়। তবে মূল রহস্য আছে সিলভার নাইট্রেট-এর মধ্যেই। তবে এছাড়াও আরও নানান ধরনের গোপন রাসায়নিক ও উপকরণ এই কালির মধ্যে থাকে। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
তবে ভোটের কালিকে ফাঁকি দেওয়ারও কিছু উপায় বেরিয়েছে বলে বাজারে শোনা যায়। তবে সেগুলি আজও প্রমাণিত সত্য নয়। আর বাইরের যে কোনও ক্যামিকেল দিয়ে ভোটের কালি পুরো ওঠে কিনা তা নিয়ে একটা প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।