সংক্ষিপ্ত

প্রবীণ ত্যাগীই ২০০০ সালে পরাগের প্রশিক্ষক ছিলেন বলে জানা যায়। সেই বছর আইআইটি জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ৭৭তম স্থান অর্জন করেন পরাগ।

ছোট থেকেই মেধাবী হিসাবেই পরিচিতি ছিল টুইটারে(Twitter) নতুন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও পরাগ আগরওয়ালের(Twitter CEO Parag Agrawal) । এদিকে পরাগের নতুন সাফল্যে ইতিমধ্যেই খুশির হাওয়া বইছে ভারতের প্রযুক্তি মহলে। টুইট করে শুভেচ্ছা বার্তা জানানো হয়েছে আইআইটি মুম্বইয়ের(IIT Mumbai) তরফেও। এমনকী শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন তাঁর স্কুলের শিক্ষকেরাও। পড়াশোনা ও নিজ লক্ষ্যের প্রতি একাগ্রতাই তাঁকে আজ উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছে বলে মত সকলের। এদিকে পরাগের সাফল্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক অদ্ভূত গল্প শোনাতে দেখা গেল তাঁরই প্রশিক্ষক প্রবীণ ত্যাগী(Praveen Tyagi)।

পরাগের সাফল্য প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “পরাগ যখন জেইই পরীক্ষা দিচ্ছিল, সে প্রথম ৪০ মিনিটের মধ্যে তার জানা সমস্ত প্রশ্ন শেষ করে ফেলে। এরপরেই অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট চাইতে পরীক্ষার হলে থাকা ইনভিজিলেটরের কাছে দৌঁড়ায়। কিন্তু ইনভিজিলেটর সাফ জানান অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট দেওয়ার কোনো ব্যবস্থাই নেই। তার কথা শুনে নিজ সিটে পরাগ ফিরে এলেও ফের পরীক্ষার নিয়মাবলী মন দিয়ে পড়া শুরু করনে। সেখানেই লেখা ছিল সঠিক ক্রমে বেঁধে ফেলুন সমস্ত অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্টগুলিতে। এই নির্দেশ দেখা মাত্রই ফের রুমে থাকা পরিদর্শকের কাছে ফিরে যান পরাগ। ইন্সপেক্টরের কাছে ফিরে গিয়ে তাঁকে তার জন্য সাপ্লিমেন্ট অর্ডার করার জন্য জোরাজুরি করেছিলেন। পরীক্ষা হল থেকে বেরিয়ে খুব বিরক্তও হয়েছিলেন তিনি। এমনকী এর জন্য তাঁর যে সময় নষ্ট হল তাঁর জন্য হতাশ হয়েছিলেন বেশ।”

আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ায় পরাগ ঝড়, টুইটারের নতুন CEO-র বেতন জানলে অবাক হবেন আপনিও

এই প্রবীণ ত্যাগীই ২০০০ সালে পরাগের প্রশিক্ষক ছিলেন বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেই বছর আইআইটি জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ৭৭তম স্থান অর্জন করেন পরাগ। এরপরেই আইআইটি-বোম্বেতে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে যোগদান করেন। এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো, মুম্বইযের অ্যাটমিক এনার্জি সেন্ট্রাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন পরাগ। আইআইটি বোম্বে থেকে পড়াশোনা করার পর, তিনি আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে পিএইচডি করেছেন। পরবর্তী কাজ করেছেন একাধিক বিশ্বখ্যাত সংস্থায়। পরাগ এর আগে মাইক্রোসফট রিসার্চ এবং ইয়াহু রিসার্চে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১১ সালে টুইটারে কাজ শুরু করেন তিনি। পরাগের কাজের কারণে কোম্পানি ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে অসাধারণ দর্শক বৃদ্ধি পায়। এরপরেই ২০১৭ সালের অক্টোবরে টুইটারে চিফ টেকনিকাল অফিসারের (সিটিও) গুরুদায়িত্ব পান এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত টেকি।