সংক্ষিপ্ত

জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে বর্তমানে উত্তাল উত্তরপ্রদেশের রাজ্য-রাজনীতি। চাপ বেড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের উপরেও। এবার এই ঘটনারই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না অযোধ্যাকে। চলতি সপ্তাহেই অযোধ্যায় বেআইনি ভাবে জমি কেনাবেচা(Land case in Ayodhya) সংক্রান্ত একটি খবরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। নাম জড়ায় মন্ত্রী-আমলা-বিধায়কদের। নামে-বেনামে চলছে জমির কেনা-বেচা। অভিযোগ এমনটাই। শুধুমাত্র জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তারাই নন, তাদের আত্মীয়রাও দেদার জমি কিনছেন বলে অভিযোগ। ২০১৯ সালের ৯ই নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court) রামমন্দির নির্মাণের রায়ের পর তেকেই অযোধ্যা যেন রিয়েল এস্টেটের(Real estate) প্রাণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে বর্তমানে উত্তাল উত্তরপ্রদেশের রাজ্য-রাজনীতি। চাপ বেড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের(Government of Uttar Pradesh) উপরেও। এবার এই ঘটনারই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ(Uttar Pradesh Chief Minister Yogi Adityanath)।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রাজস্ব মনোজ কুমার সিং এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। বিশেষ সচিব (রাজস্ব) জমি ক্রয় মামলার উপর তদন্ত করে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে একটি রিপোর্ট দেবেন বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরোনোর পর থেকেই রামমন্দির সংলগ্ন ৫ কিলোমিটার বৃত্তের মধ্যে নানান জায়গায় জমিগুলো কেনা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। একদিকে অযোধ্যার রাজ্য ওবিসি কমিশনের সদস্য থেকে শুরু করে বিধায়ক, মেয়ররা নিজের নামেই জমি কিনেছেন। তেমনই আবার অন্যদিকে, সাব ডিভিশানাল ম্যাজিস্ট্রেট, অযোধ্যা পুলিশের ডিআইজি, সার্কেল ইন্সপেক্টর, ডিভিশানাল কমিশনার, স্টেট ইনফরমেশন কমিশনার ইত্যাদি পদাধিকারীদের আত্মীয়স্বজনেরা জমি কিনেছেন বলে খবর। তবে বেশিরভাগ জমিই কেনা হয়েছে বেআইনি ভাবে, অভিযোগ এমনটাই।

আরও পড়ুন-রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়তেই সায়ন্তনের বাড়িতে একঝাঁক তৃণমূল নেতা, দলবদল নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রভাব খাটিয়ে জমি কেনার ১৪টি ঘটনা সামনে এসেছে। এইসব জমি কেনা হয়েছে প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছে মহর্ষি রামায়ণ বিদ্যাপীঠ ট্রাস্ট। পাঁচটি প্লটের বিক্রেতা তারাই। রাম জন্মভূমির জমির ক্রেতাদের তালিকায় রয়েছেন বিজেপি বিধায়ক ইন্দ্রপ্রতাপ তিওয়ারি ও বেদ প্রকাশ গুপ্তা, অযোধ্যার মেয়র ঋষিকেশ উপাধ্যায়, অযোধ্যার ডিভিশনাল কমিশনার এমপি আগরওয়াল, অযোধ্যার মুখ্য রেভিনিউ অফিসার পুরুষোত্তম দাশগুপ্ত, ডিআইজি দীপক কুমারের সহ আরও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম। এই তালিকা সামনে আসার পরেই রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরাও। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে এই রকম সাঁড়াশি চাপের মুখে পড়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তাই খোলা ছিল না যোগী সরকারের কাছে। এখন তদন্তের ফল কোন পক্ষে যায় এখন সেটাই দেখার।