সংক্ষিপ্ত
২০১৪ সালের পর থেকে এটিই বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই চ্যানেলের সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে। আর এতেই মারা গেলেন এক গর্ভবতী মহিলা সহ ২৭ শরণার্থী।
ফের বড়সড় দুর্ঘটনা(accident) ঘটে গেল ইংলিশ চ্যানেলের (English Channel) বুকে। ২০১৪ সালের পর থেকে এটিই বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই চ্যানেলের সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে। আর এতেই মারা গেলেন এক গর্ভবতী মহিলা(Pregnant Women) সহ ২৭ শরণার্থী। নিহতদের মধ্যে পাঁচ নারী ও একটি শিশুও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে ঘিরে ফ্রান্স(France) ও ব্রিটেনের(Britain) মধ্যে পারস্পরিক দোষারোপ শুরু হয়েছে। দুই দেশের মধ্যবর্তী এই জলপথ দিয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীরা যাতায়াত করে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে। তবে এই অনুপ্রবেশকারীরা কোন দেশের তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সঠিক দিশা পাওয়া যায়নি।
ফরাসি অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানিয়েছেন মৃতেদর পরিচয় জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। এছাড়া মাঝসমুদ্র থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দু’জনকে। তাঁদের মধ্যে এক জন সোমালিয়া ও অপর জন ইরাকের নাগরিক বলে জানিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, বৃহঃষ্পতিবার ফ্রান্সের বন্দর শহর ক্যালে থেকে ছোট ওই নৌকা করে ব্রিটেনের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল শরণার্থীদের একটি দল। মাঝ সমুদ্রে সেটি উল্টে যায়। তাই শরণার্থীদের বেশিরভাগ ফ্রান্স বা পার্শ্ববর্তী কোনও দেশের নাগরিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় পুরভোটে লাগামছাড়া হিংসা নিয়ে সরব বিরোধীরা, নজর তৃণমূলের ‘সুপ্রিম’ পদক্ষেপে
এদিকে শরণার্থীদের অবৈধ উপায়ে ব্রিটেনে পাঠানোর চক্রে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই পাঁচ জন দালালকে গ্রেফতার করেছে ফ্রান্সের পুলিশ। এদিকে এই ধরণের দালালেরা মূলত একাধিক বেআইনি পন্থা অবলম্বন করে শরণার্থীদের ভিন দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে অনেক সময়েই কড়া ব্যবস্থা নিয়ে থাকে দুই দেশের সরকারই। তারপরেও এদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে না পারার কারণেই এই বিপত্তি বলে মত অনেকের। এদিকে ডিঙি নৌকাটি মাঝ সমুদ্রে উল্টে যেতেই এক মৎস্যজীবী শরণার্থীদের আর্ত চিৎকার শুনতে পান বলে জানান।
তারপর ওই এক মৎস্যজীবীই প্রথমে উপকূলরক্ষীদের খবর। কিন্তু হেলিকপ্টার সহ যতক্ষণে উদ্ধারকারী দল অকুস্থলে এসে পৌঁছায় ততক্ষণে মারা গিয়েছেন সিংহভাগ শরণার্থী। এদিকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পাশাপাশি তিনি ফ্রান্সকে এই ধরনের বেআইনি যাতায়াত রুখতে কড়া হওয়ার আরজিও জানিয়েছেন। অন্যদিকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকেও। এই ধরণের মর্মান্তিক ঘটনায় রাজনীতির রং লাগানোর অনুরোধ করেছেন তিনি।