সংক্ষিপ্ত
- ৬১ তম জন্মদিনে মাইকেল জ্যাকসন
- বিশ্বের পপ সঙ্গীতের জনক তিনি
- মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে ন'টা বছর
- আজও সবার স্মৃতিতে অমলিন মাইকেল জ্যাকসন
মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে ন'টা বছর তবে আজও সবার স্মৃতিতে অমলিন মাইকেল জ্যাকসন। এই ২৯ অগাস্ট তাঁর ৬১তম জন্মদিন। মাত্র ৫০ বছরের জীবদ্দশায় তিনি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পপ গায়ক হয়ে ওঠেন। এমনকি তিনি বিশ্বের এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি অ্যাওয়ার্ড নমিনেশন গায়ক তিনি। তাঁর কাজের জন্য তাঁকে কিং অফ পপ (পপ সঙ্গীতের রাজা) বলা হয়।
১৯৫৮ সালের ২৯ অগাস্ট তিনি চিকাগোর কাছে গ্যারিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আট ভাই বোনের মধ্যে তিনি তাঁর মা বাবার সপ্তম সন্তান ছিলেন। তিনি জ্যাকসন স্ট্রিটের একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা ক্ল্যারিনেট(সানাই) এবং পিয়ানো বাজাতেন। তাঁর বাবা ছিলেন একজন বক্সার। ছেলেবেলায় তাঁর নাম ছিল মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন পরে সেই নাম বদলে হয় মাইকেল জ্যাকসন। ১৯৬৩ সালে মাত্র ৫ বছর বয়স থেকে পেশাদার সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে কাজ শুরু করেন তিনি।
সেই বছর থেকেই তিনি জ্যাকসন ফাইভ নামের এক সঙ্গীত গোষ্ঠীর সঙ্গে গান গাইতেন। ১৯৭১ সাল থেকে তিনি একজন একক শিল্পী হিসাবে গান গাইতে শুরু করেন। সেই সময় তিনি মোটাউন রেকর্ডসে কাজ করতেন। ১৯৮০ এর দশকের মধ্যেই তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। তিনি প্রথম কৃষ্ণঙ্গ মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী যিনি এত জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তিনি যে শুধু গায়ক হিসাবেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তা একেবারেই নয়। গানের পাশাপাশি তাঁর নাচও জনপ্রিয়। তাঁর নাচের মধ্যে ছিল মুনওয়াক এবং রোবট। পরবর্তীকালে বহু জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পীরাও তাঁর নাচের প্রশংসা করে ছিলেন।
তাঁর অসংখ্য অ্যালবামের মধ্যে সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া একটি অ্যালবাম হল 'থ্রিলার'। এছাড়াও তাঁর বহুল প্রচলিত অ্যালবামের মধ্যে যে অ্যালবামের নামগুলি উঠে আসে সেগুলি হল- হিস্টরি, অফ দ্য ওয়াল, ডেঞ্জারাস এবং ব্যাড। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে মাইকেল জ্যাকসন সর্বকালের সফল শিল্পী। তাঁর সর্বপ্রথম রিমিক্স অ্যালবাম 'ব্লাড অন দ্যা ডান্স ফ্লোর: হিস্টরি ইন দ্যা মিক্স'। ২০০১ সালে তিনি রিলিজ করেন তাঁর জীবনের দশম তথা সর্বশেষ স্টুডিও অ্যালবাম 'ইনভিন্সিবল'।
তিনি তাঁর কাজের জন্য ১৩ টি গ্র্যামি পুরষ্কার, এক নম্বর একক শিল্পী হিসাবেও তিনি ১৩ টি পুরষ্কার পেয়েছিলেন। ২৫ জুন ২০০৯ সালে এই বিখ্যাত শিল্পী মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পরে সারা বিশ্বে সারা পরে যায়। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরতেই অনলাইনে তাঁর নাম দিয়ে এতও বেশি সার্চ হয়েছিল যে গুগল সাইট ক্রাশ করে যায়। যার ফলে বেশ কিছুক্ষনের জন্য বন্ধও রাখা হয় পরিষেবাও। এই প্রখ্যাত শিল্পীকে সম্মানিত করতে ২০০৯ সালের ৭ জুলাই লস অ্যানজেল্সে তাঁর নামে একটি স্মৃতি সৌধ স্থাপন করা হয়।