সংক্ষিপ্ত
- পাকিস্তানকে একঘরে করে নয়া বন্ধুত্ব ভারতের
- রাশিয়ার সঙ্গে আরও দৃঢ় হচ্ছে সম্পর্ক
- তিনদিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর
- ৯ই জুলাই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রয়েছে একাধিক ইস্যু
আফগানিস্তানের উন্নয়ন ও সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। এই ইস্যুকে সামনে রেখেই কূটনীতির দারুণ চাল দিল নয়াদিল্লি। তিনদিনের রাশিয়া সফরে রয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই সফরে আফগানিস্তান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে সূত্রের খবর মিলেছিল। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে শুক্রবার অর্থাৎ ৯ই জুলাই রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করবেন জয়শঙ্কর।
এই বৈঠকের বেশ কয়েকটি দিক রয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। একদিকে যেমন আফগানিস্তান, রাশিয়া ও ভারত একসূত্রে বাঁধা পড়ছে, তেমনই এই বৈঠকের মাধ্যমে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে এই বৈঠকের মাধ্যমে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
৯ই জুলাইয়ের বৈঠকে কয়েকটি বিষয় দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনায় উঠে আসবে। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রক বৃহস্পতিবার জানিয়েছে এই বৈঠকে রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযোগিতা এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
দুই দেশই এদিন রাষ্ট্রসংঘ, ব্রাজিল-রাশিয়া-ভারত-চীন-দক্ষিণ আফ্রিকা (Brics) এবং সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-এর পারস্পরিক সমন্বয় নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে। এর আগে আফগানিস্তানের উন্নয়নে ভারতের সহযোগিতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল পাকিস্তান। তাই এবারের বৈঠক ইসলামাবাদের সেই জ্বালায় আরও নুন ছেটাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারত ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে। তিনি নিজের ট্যুইটে বলেন আফগানিস্তান নিয়ে ভারত একটু বেশিই স্পর্শকাতর। তারও উত্তর দিয়েছিল ভারত। বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছিল তাদের পাশে কে থাকবে, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র আফগানিস্তানের রয়েছে। ভারতকে তারা নিজেদের পাশে চায়, তাই ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের টোলো নিউজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে কুরেশি উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেন কাবুলে ভারত যে সহমর্মিতা দেখাচ্ছে, তা একটু বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য নয়াদিল্লির সহযোগিতায় আফগানিস্তানে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চলছে।