সংক্ষিপ্ত
স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে কাবুল ব্যাঙ্ক খুললেও টাকার যোগান নেই। বিপাকে লক্ষ লক্ষ আফগানবাসী।
তালিবানরা কাবুল দখলের পর এখনও পর্যন্ত কোনও কিছুই নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে আফগানিস্তানের ব্য়াঙ্কগুলিতে। বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর দিন তিনেক আগে ব্যাঙ্কগুলি পুনরায় খোলা হয়। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি সাধারণ আফগানদের। ব্যাঙ্ক আর এটিএমগুলির সামনে টাকাতোলার দীর্ঘ লাইন পড়ে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষকেই প্রয়োজনীয় টাকা না পেয়ে ফিরতে হয় খালি হাতে। অন্যদিকে সরকারি কর্মচারীরা দাবি করেছেন তিন থেকে ছ'মাস ধরে তাদের বেতন দেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে আর্থিক মন্দায় বেহাল দশা আফগানিস্তানের।
আফগানিস্তানের প্রথম সারির সরকারি ব্যঙ্কা হল কাবুল ব্যাঙ্ক। সেই ব্যঙ্কের সামনে গ্রাহকদের লম্বা লাইন পড়ে। এটিএম মেশিনগুলিও কাজ করছে। কিন্তু প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ব্যঙ্কের এটিএম থেকে মাত্র ২০০ ডলারই তোলা যাবে বলেই টাকাতোলার সূচি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই টাকা তুলতে স্থানীয় বাসিন্দাদের নাজেহাল হতে হচ্ছে।
করদাতাদের জন্য পদক্ষেপ, কেন্দ্রীয় সরকার আয়কর আইনের অধীনে E-Filing সময়সীমা বাড়িয়েছে
বিয়ের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে না পারার শাস্তি, নববধূর কাছ থেকে এল ১৭ হাজার টাকার জরিমান-বিল
ভারত-আফগান সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী তালিবানরা, স্টেনিকজাইয়ের মন্তব্য ঘিরে জল্পনা
একদিকে তালিবান আতঙ্ক। অন্যদিকে ইসলামিক স্টেটএর জঙ্গিদের বারবার হামলা- নিরাপত্তার অভাব মাথায় নিয়েই টাকা তুলতে বাড়ির বাইরে যেতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই অবস্থায় রাষ্ট্রসংঘের একটি বিভাগ ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে আফগানিস্তানের আর্থিক মন্দা নিয়ে। আফগানিস্তানের মানুষদের মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।
আফগানিস্তানের এই সংকটে বিদেশি শক্তিগুলি উপকৃত হতে পারে। কারণ আর্থিক সংকটে ভোগা তালিবানদের ওপর একটি মিলিঝুলি মানবিক সরকার গঠনে জোর দিতে পারে তারা। অন্যদিকে আফগানিস্তানে সরকারি ব্যঙ্ক গুলি কাজ শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত বেসরকারি ব্যঙ্কগুলিকে কাজ শুরু করার অনুমতি দেয়নি তালিবানরা।