সংক্ষিপ্ত

  • পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তি অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস
  • বেজোসের ফোন হ্যাক করেন সৌদি যুবরাজ সলমন
  • ২০১৮ সালে হ্যাক করা হয়েছিল ফোন
  • ফোন হ্যাকের সঙ্গে যোগ রয়েছে  সাংবাদিক খাসোগি হত্যার 

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি  অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস। তাঁর ফোনও রক্ষা পেল না হ্যাক হওয়া থেকে। মার্কিন ধনকুবের তথা 'ওয়াশিংটন পোস্ট'-এর মালিক জেফ বেজোসের ফোন হ্যাক করেছিলেন স্বয়ং সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। ঘটনাটি ঘটেছিল আজ থেকে ২ বছর আগে ২০১৮ সালে। এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে গার্ডিয়ান পত্রিকার এক প্রতিবেদনে। 

 

 

দ্য গার্ডিয়ান দাবি করেছে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে হত্যা করা হয়েছিল  ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে। এর ঠিক  পাঁচ মাস আগে মেয়ে মাসে ওয়াশিংটন পোস্টের কর্ণধার জেফ বেজোসের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে কথোপকথন হয় সৌদি যুবরাজ সলমনের। সেই সময় বেজোসের ফোন থেকে তথ্য হ্যাক করেন সলমন। সেই তথ্য দেখেই খাসোগির গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা করে সৌদি আরব। 

আরও পড়ুন: পুরনো প্রেমের টানে হবু বেয়াইন কে নিয়ে পালালেন বরের বাবা, ভেস্তে গেল ছেলে-মেয়ের বিয়ে

ফোন হ্যাকের ৫ মাসের মধ্যে তুরস্কে হত্যা করা হয়েছিল খাসোগিকে। এই হত্যা সম্পর্কে দীর্ঘ একবছর পর মুখ খোলেন সৌদি যুবরাজ। বলেন, তাঁর পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানে খাশোগি হত্যার ঘটনা ঘটে। এর আগে তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থাও জানায়, যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের নির্দেশেই তুসক্রের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক খাসোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যদিও সেইসময় সলমন এই হত্যার দায় স্বীকার করেননি। 

আরও পড়ুন: পাশে বসে ইমরান, ভারতের অস্বস্তি বাড়িয়ে কাশ্মীর নিয়ে ফের মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের

জেফ বেজোসের মোবাইল ফোন হ্যাকিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল গত বছরের মার্চ মাসে। বেজোসের মোবাইল ফোন থেকে হ্যাকাররা তাঁর বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের গোপন ছবি এ তথ্য বের করে নিয়েছিলেন বলে জানা যায়। আর সে সব তথ্য প্রকাশ করার জন্য তুলে দেওয়া হয় এক মার্কিন ম্যাগাজিনের হাতে। 

তাঁর ফোন কারা হ্যাক করেছিল তা জানার জন্য তদন্তকারী নিয়োগ করেন বেজোস। সেই তদন্তকারী সংস্থার প্রধানই সৌদি যুবরাজের ফোন হ্যাক করার কথা জানান।