সংক্ষিপ্ত
- অন্তত ১০জন জেএমবি জঙ্গি ঢুকে পড়ছে ভারতে
- তারা চোরাপথে এদেশে ঢুকেছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে খবর
- প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন তারা নাশকতা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা
- তাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছেন গোয়েন্দারাও
কাঁটাতারের ওপারে নাকি চলছিল জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির। বাংলাদেশের সেই শিবির থেকেই নাকি কমপক্ষে ১০জন জঙ্গি চলে এসেছে এপারে। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, প্রজাতন্ত্র দিবসে হামলা চালাতে পারে তারা এদেশে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, এই রাজ্য়ের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে আবার জঙ্গি কার্যকলাপ শুরু করেছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের দুটি জায়গায় মাথা চাড়া দিয়েছে জেএমবির নেতারা। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহি জেলায় ফের নতুন করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে গোপনে। জেএমবিদের এরকম অন্তত পাঁচটি শিবিরের খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের কথায়, মুর্শিদাবাদের ওপারে রাজশাহীতে বারংবার ডেরা বেঁধেছে জঙ্গিরা। অন্য়দিকে, মালদা জেলার ওপারে বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ কুখ্য়াত জালনোটের কারবারের জন্য়। এই দুটি জায়গায় প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করেছে জেএমবি। ডেরাগুলির সন্ধান চলছে।
গোয়েন্দাসূত্রের খবর, যেহেতু জেএমবির ধুলিয়ান মডিউল ভেঙে ফেলেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ, সেহেতু মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে আর অন্য় মডিউল তৈরি না-করে ওই জেলা থেকে জেএমবির কিছু নেতা যুবকদের মগজধোলাই করে তাদের দলে নিয়োগ করতে শুরু করেছে। তারপর সেখান থেকে তাদের পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ আর রাজশাহীতে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই প্রশিক্ষণ শেষ করিয়ে চোরা পথে ওদের সীমান্ত পার করিয়ে এই রাজ্য়ে পাঠানো হয়েছে। খবর পাওয়া গিয়েছে, ১০জনকে পাঠানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের যুবকদের আগে চেন্নাইয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে বুদ্ধগয়ায় নাশকতা ঘটনা হয়েছিল। যদিও হাত গুটিয়ে বসে নেই গোয়েন্দারাও। ইতিমধ্য়েই ওই দশজনকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। নজর রাখা হচ্ছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন এই রাজ্য় বা অন্য় কোনও রাজ্য়ে তারা নাশকতার ছক কষেছে কিনা।