- Home
- World News
- Bangladesh News
- শেখ হাসিনার ভারতবাস: কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলে জটিলতা ও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
শেখ হাসিনার ভারতবাস: কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলে জটিলতা ও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
| Published : Aug 24 2024, 10:10 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতে হাসিনা
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতের সেফ হাউসে রয়েছেন। দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসেন ভারতে। সেই থেকে ভারতেই রয়েছেন তিনি।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। এই অবস্থায় তাঁর ভারতে থাকা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারে পদক্ষেপ
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সম্প্রতি হাসিনা ও তাঁর উপদেষ্টা মণ্ডলী, মন্ত্রিসভার সদস্য-সহ আওয়ামি লিগের সাংসদদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে।
স্ত্রী সন্তানদের পাসপোর্ট বাতিল
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের স্ত্রী ও সন্তানদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন। অবিলম্বেই তা কার্যকর হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের হাসিনাপন্থীরা চরম বিপাকে পড়েছে। দেশে ছেড়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
কূটনীতিকদের ওপর চাপ
কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁদের চাকরি বা চুক্তি শেষ হয়ে গেছে বা চুক্তি বাতিল করা হয়েছে, তাঁদেরও কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদনের পর কমপক্ষে দুটি তদন্ত সংস্থার ছাড়পত্র সাপেক্ষে তাঁদের নামে পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।
চাপ বাড়ছে হাসিনার ওপর
এই অবস্থায় চাপ বাড়ছে শেখ হাসিনার ওপর। কূটনৈতিক পাসপোর্ট ছাড়া আর কোনও পাসপোর্ট তাঁর নেই। তাই বৈধভাবে ভারতে থাকা সমস্যার।
ভারতের ভিসা নীতি
ভারতের ভিসা নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশের কূটনীতিক বা আধিকারিকরা সরকারি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই ভারতে আসতে পারেন। চাইলে ৪৫ দিন ভারতে থাকতে পারেন।
আর ২৫ দিন মেয়াদ
এই অবস্থায় হাসিনা বৈধভাবে আর মাত্র ২৫৪ দিন ভারতে থাকতে পারেন। কারণ এপর্যন্ত তিনি ২০ দিন ভারতে রয়েছেন।
ভারতের দাবি
ভারতের সরকারি সূত্র বলছে বাংলাদেশ সরকার হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার পরে তাঁর আর কোনও সরকারি পাসপোর্ট নেই।
ভিসা পেতে সমস্যা
শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করায় তাঁর ভিসা পেতে সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে বাংলাদেশ ফিরে যেতে হতে পারে।
হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে ৫১টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৪২টি হত্যা মামলা।
প্রত্যপর্ণ চুক্তি
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালে সম্পাদিত এবং ২০১৬ সালে সংশোধিত প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনা আইনি কাঠামোয় চলে আসতে পারেন। চাইলে ভারত তাঁর প্রত্যাপর্ণের অনুরোধ নাকচ করতে পারে।