সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপদ শহীদুজ্জামান-এর একটি বক্তব্য। যেখানে তিনি ভারত বিরোধিতায় সরব হয়েছেন।

 

যে ভারতের দয়ার মাত্রা ৫৩ বছর আগে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর হাত থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল বাংলাদশ, এই বাংলাদেশ এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি শুরু করে দিল। তেমনই কথা শোনা গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শহীদুজ্জামনের গলায়। পাশাপাশি ভারতের বিরোধিতা করার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী মহম্মদ ইউনুস সরকার যে চিন আর পাকিস্তানের ঘনিষ্ট হচ্ছে তাও স্পষ্ট করে দিলেন।

শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে মৌলবাদী সংগঠনগুলির রবরবা বাড়ছে। পাশাপাশি মাথা চাড়া দিয়েছে জমাতে মত জঙ্গি সংগঠন। সেখান হিন্দু -সব একাধিক সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ক্রমশই বাড়ছে। এই অবস্থায় মৌলবাদী, জামাত আর পাকিস্তানের হাতে কাঠের পুতুল হয়ে পড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস। এই অবস্থায় ভারত বিরোধী প্রতিক্রিয়ার হিড়িক বাড়ছে বাংলাদেশের বিশিষ্টদের মধ্যে।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপদ শহীদুজ্জামান-এর একটি বক্তব্য। যেখানে তিনি ভারত বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'পাকিস্তানের থেকে আমাদের খুব উন্নত প্রয়ুক্তির যুদ্ধবিমান কিনতে হতে পারে। তখন কিবলবেন, সেট আমাদের পাকিস্তান প্রীতি? ওঅ যে জে-৭ যুদ্ধবিমান, সেটি চিন আর পাকিস্তানের যৌথ প্রযুক্তি। সেটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের সমান। পাকিস্তানের কাছ থেকে বিমানটি কম দামে পাওয়া যাবে। এই যুদ্ধ বিমান যদি আমাদের থাকে তাহলে ভারতকে খুব হতাশ করে দেবে... যেটা জয়শঙ্করের স্বপ্ন বাংলাদেশকে ইয়ে করা'। তবে এখানেই থাকেননি অধ্যাপক। তিনি আরও বলেছেন, 'আগামী দিনে আমাদের কাছে অনেক সুযোগ আসবে। দেখুন মণইপুর ও মিজোরামে শুরু হয়েছে। অসমে.. এটা আমি সরাসরি বলে ফেলছি... বলবো ... যদি স্বাধীনতাকামীরা আবার এগিয়ে সে তাদের প্রস্তু মুখ ঘুরিয়ে নেওয়াটা ঠিক আমাদের মানাবে না... জাতীয় স্বার্থের প্রশ্ন।'

 

 

যদিও ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ম্যাপ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভারতের সিকিম, অসম, মণিপুর , মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়-এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ম্যাপ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। লেখা রয়েছে, 'তৃতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধের অপেক্ষা'। যাইহোক বাংলাদেশের অস্থিরতার আঁচ ইতিমধ্যেই এই রাজ্য তথা দেশেও পড়তে শুরু করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।