সংক্ষিপ্ত
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়। আক্রান্ত হয় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এবার ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হিন্দুরা। শনিবার হিন্দুরা বাংলাদেশের জাতীয় রাজধানী ঢাকা ও দেশের বৃহত্তম শহর চট্টোগ্রামে বিলাশ সমাবেশ করেন। সেই সমাবেশে লক্ষ লক্ষ হিন্দু জড়ো হয়েছিল। হিন্দুদের পাশাপাশি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম মানুষও জড়ো হয়েছিল দেশে শান্তি ফেরানোর দাবি জানিয়ে।
৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাহ করেছিলেন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে দেশের ৫২টি জেলায় ২০৫টিরও বেশি সংখ্যালঘু আক্রমণের ঘটনা ঘটনায় হিন্দুরাই ছিল মূল টার্গেট। হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়। খুন করা হয়েছে প্রচুর হিন্দুদের। বাংলাদেশের হিন্দু মন্দিরও রেহাই পায়নি। হিন্দুদের দেশ ছাড়া করার পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। এই অবস্থায় অনেকেই ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে। শনিবারও হামলার ঘটনা অব্যাহত ছিল। ঢাকা অবস্থিত সবথেকে বড় ভারতীয় রেস্তোরাঁ সান্টুর-এই ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশের হিন্দুরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছে। তাদের দাবি বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাদেরও অবদানও ছিল। বাংলাদেশ তাদেরও দেশ।
দুটি সমাবেশ থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিচারপ্রক্রিয়ার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ ও সংখ্যালঘু সুরাক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি ওঠে। কেন্দ্রীয় শাহবাগে প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হিন্দুদের আন্দোলন হয়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। হিন্দুদের এই সমাবেশে ছাত্রসহ কয়েক হাজার মুসলিম বিক্ষোভকারী অংশ নিয়েছিল। চট্টোগ্রামের ঐতিহাসিক চেরাগী পাহাড়ে বিশাল সমাবেশ হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী সমাবেশ প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ জড়ো হয়েছিল।
সংখ্যালঘু হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি আরও বলেছে, বাংলাদেশের হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ পরিবারকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন, 'তারা কি এই দেশের মানুষ নয়? আপনারা দেশ বাঁচাতে পেরেছেন আর পরিবারকে বাঁচাতে পারবেন না? কেই সংখ্যালঘুদের ক্ষতি করবে না এই প্রতিশ্রুতি সকলেই নিতে হবে। তারা আমার ভাই আমরা একসঙ্গে যুদ্ধ করেছি। আমরা একসঙ্গে থাকব।' তিনি জাতীয় ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।