সংক্ষিপ্ত
আদালতের সওয়ালের সময় অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেছেন, 'ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটা আর দরকার নেই। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ।
বদলে যাবে বাংলাদেশের সংবিধান? মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকরের তেমনই আবেদবন। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ট হল মুসলিম সম্প্রদায়। কিন্তু এতদিন বংলাদেশের সংবিধানে 'ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দ ছিল। কিন্তু এবার 'ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দের আর প্রয়োজন নেই বলেই বাংলাদেশের হাইকোর্টের পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী বতিলের জন্য সওয়াল করেছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। বিচারপতি ফারাহ মহবুব ও বিচারপতি দেবাশিস রায়চৌধুরীর বেঞ্চে সওয়াল করতে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জানাম বলেন, 'পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের বুকে কুঠারঘাত করা হয়েছে।' তিনি 'মৌলিক অধিকার' নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় ওই সংশোধনীর মাধ্যমে 'তত্ত্বাবধায়ক সংকরারে নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সংসদের নির্বাচন আয়োজন' করার সংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বাতিল করা হয়েছিল।
আদালতের সওয়ালের সময় অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেছেন, 'ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটা আর দরকার নেই। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। আগেআল্লার প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের কথা ছিল। এটি যে ভাবে আগে ছিল সেভাবেই চাইছি।' হাসিনার জমানায় ২০১১ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হয়েছিল। এই সংশোধনে সংবিধানের কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের জমানায় ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানের জাতীয়তাবাদ সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার উল্লেখ থাকলেও পরবর্তী জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল হুসেন মহম্মদ এরশাদের আমলে কোপ পড়েছিল ধর্মনিরপেক্ষতায়। পঞ্চদশ সংশোধনীতে ওই চারটি বিষয় মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার শুনানিতে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল স্পষ্ট করে দিয়েছেন পালাবদলের বাংলাদেশে আর মুক্তিযুদ্ধ - পরবর্তী ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতান্ত্রিক চেতনার প্রয়োজন নেই।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই বাংলাদেশের দায়িত্বে রয়েছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার একের পর এক রদবদল আনছে বাংলাদেশে। সম্প্রতি বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বাড়ছে বলে একাধিক অধিকার করা হয়েছে। যদিও ইউনুস সরকার এই বিষয়ে তেমন উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।