সংক্ষিপ্ত
যে কোনও জরুরী পরিস্থিতিতে দূতাবাসের নম্বর জারি করা হয়েছে। দূতাবাস বলেছে যে জরুরী পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশে বসবাসরত ভারতীয়দের এই নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।
দেশব্যাপী বিক্ষোভের মধ্যে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৯৭ জনেরও বেশি মৃত্যু। আহত হয়েছেন কয়েক ডজন। অন্যদিকে, ভারতীয় দূতাবাস তাদের নাগরিকদের যোগাযোগে থাকতে এবং সতর্ক থাকতে বলে একটি পরামর্শ জারি করেছে।
সিলেটে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এবং সম্পূর্ণ সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেছে। যে কোনও জরুরী পরিস্থিতিতে দূতাবাসের নম্বর জারি করা হয়েছে। দূতাবাস বলেছে যে জরুরী পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশে বসবাসরত ভারতীয়দের +88-01313076402 এই নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পর এখন আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়েছে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ঢাকায় জড়ো হয়। শনিবারও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করে। রবিবার সকালেও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনে যুক্ত আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরোধিতার মুখে পড়লে সহিংসতা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এই ঘটনার পর সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ আরও তীব্র হয়। সংঘর্ষের মধ্যে কমপক্ষে ৭২ জন মারা গেছেন এবং প্রচুর মানুস আহত হয়েছে।
ডেইলি স্টার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। লাঠিসোঁটা নিয়ে লোকজনকে গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেল ও বাস ভাঙচুর করতে দেখা গিয়েছে। দেশের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পর সরকার কারফিউ জারি করেছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারির ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোরভাবে বিক্ষোভ দমনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা ছাত্র নয়, সন্ত্রাসী। জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেশবাসীর কাছে এই সন্ত্রাসীদের কঠোরভাবে দমন করার আহ্বান জানাচ্ছি। সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার প্রধানরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।