সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশে নীতিমালা সংক্রান্ত জটিলতায় আপাতত মুক্তি পাচ্ছে না পাঠান। সাফটা চুক্তি (দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি) অধীনে আমদানি-রফতানি নীতিমালায় ছবিটি সেই দেখে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়।
বুধবার ভারত-সহ প্রায় ১০০টি দেশে মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখ খানের পাঠান। এই ছবিতে শাহরুখ খানের সঙ্গে রয়েছে দীপিকা পাড়ুকন ও জন আব্রাহাম। ভারতে ইতিমধ্যেই ছবিটি নিয়ে যথেষ্ট উন্মাদনা রয়েছে। পাশাপাশি বিতর্কও রয়েছে পাঠান নিয়ে। কিন্তু এবার সেই বিতর্কের জালে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আটকে গেল পাঠানের মুক্তি। বাংলাদেশের জল্পনা ছিল সেই দেশেও মুক্তি পাবে পাঠান। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে পাঠান আপাতত সেই দেশে মুক্তি পাবে না।
সূত্রের খবর, সেই দেশের নীতিমালা সংক্রান্ত জটিলতায় আপাতত মুক্তি পাচ্ছে না পাঠান। সাফটা চুক্তি (দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি) অধীনে আমদানি-রফতানি নীতিমালায় ছবিটি সেই দেখে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার গুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আমদানি ও রফতানি সংক্রান্ত কমিটি মিটিং-এ বসে। কিন্তু মুক্তির বিষয় কমিটি এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। কিন্তু কমিটি বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে নীতিমালার তিনটি ধারা বিচার বিশ্লেষণ করে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার বা না দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে।
আর সেই কারণে আপাতত আটকে রয়েছে পাঠানের মুক্তি। কারণ বর্তমানে পাঠানের মুক্তি নিয়ে চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ করছে আইনজীবীরা। তারাই এই বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে। তথ্য সম্প্রচার সূত্রের খবর আগামী দুই এক দিনের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রক এই বিষয়ে চিঠি পাঠাবে। বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই পাঠান যদি তাদের দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পায়া তাহলে তাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু সিনেমা আদানপ্রদানের নীতিমালায় সমস্যা দেখা দিয়েছে।
গত সপ্তাহে বুধবার পাঠান আমদানি করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জানা গেছে মুম্বইয়ের আন্তর্জাতিক একটি পরিবেশক সংস্থা ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভিজের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠান ছবিটে রফতানির কথাবার্তা হয়েছে।