সংক্ষিপ্ত

‘চড় থেরাপি’ নিতে গিয়েছিলেন ৭১ বছর বয়সি ড্যানিয়েল কার-গোম। সেখানেই ভয়ানক জোরে একটি থাপ্পড় খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বৃদ্ধা।

ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন প্রায় ১৭ বছর ধরে, কিন্তু, চিকিৎসকের পরামর্শ সত্ত্বেও কিছুতেই ইনসুলিন নেওয়ার জন্য ইঞ্জেকশনের ভয় এড়াতে পারতেন না ৭১ বছর বয়সি ড্যানিয়েল কার-গোম। ২০১৬ সালে হঠাৎ তিনি খোঁজ পেলেন এক আজব চিকিৎসা পদ্ধতির, যে পদ্ধতির দ্বারা সুগারও কমে যাবে, আর ইনজেকশনও নিতে হবে না। সেই পদ্ধতির নাম – পায়দা লাজিন থেরাপি। অদ্ভুত এই থেরাপির বিশেষত্ব হল, নিজেকে চড় মারা। ক্রমাগত নিজেকে জোরে জোরে থাপ্পড় মেরে গেলে, অথবা অন্য কারুর কাছ থেকে চড় খেতে থাকলে নাকি কমে যাবে ডায়াবেটিস। এই পদ্ধতি নেওয়ার জন্যই গিয়েছিলেন ব্রিটেনের উইল্টশায়ারের ক্লিভ হাউসে গিয়েছিলেন ড্যানিয়েল। কিন্তু, সেটাই ছিল তাঁর শেষ যাওয়া! 

-

২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর, ক্যালিফোর্নিয়ার ৬০ বছর বয়সি হংচি জিয়াও-এর কাছে ‘চড় থেরাপি’ নিতে গিয়েছিলেন ৭১ বছর বয়সি ড্যানিয়েল কার-গোম। সেখানেই ভয়ানক জোরে একটি থাপ্পড় খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বৃদ্ধা। তারপরেই চিনা থেরাপিদাতা হংচি জিয়াও-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ড্যানিয়েলের পরিবারের মানুষজন। কিন্তু, ইংল্যান্ড ছেড়ে অন্য দেশে পাততাড়ি গুটিয়েছেন হংচি। তাঁর বিরুদ্ধে তল্লাশি চলতেই থাকে। অবশেষে ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর খোঁজ পায় ব্রিটেনের পুলিশ। তারপরেই তাঁকে ইংল্যান্ড ফিরিয়ে আনা হয় এবং গ্রেফতার করা হয়। 


-

ফ্রান্সে জন্মগ্রহণকারী, ড্যানিয়েল কার-গোম মাত্র ২১ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে চলে এসেছিলেন, ১৯৯৯ সালে তাঁর ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। কিন্তু, ইনজেকশন নেওয়ার ভয়ে তিনি ইনসুলিন নিতে পারতেন না। নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী তাঁর ছেলে ম্যাথিউ কার-গোম বলেছেন, “মা সবসময় ডায়াবেটিসের চিকিৎসার বিকল্প পদ্ধতিগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করত। সামগ্রিক ওষুধ এবং থেরাপিতে খুব আগ্রহী ছিল। আমি জানি, মা এই রোগ থেকে নিজেকে নিরাময়ের চেষ্টা করতে মরিয়া ছিল। মারা যাওয়ার আগের বছরগুলিতে মা একজন সঙ্গীর সঙ্গে দুর্দান্ত জায়গায় ছিল। একটা সুন্দর বাড়ি ছিল, মা পৃথিবী ঘুরে বেরাচ্ছিল। তার অনেকটা জীবন বাকি ছিল।”