সংক্ষিপ্ত
- চিনের উহান প্রদেশে এখনও আটকে রয়েছেন বেশ কয়েকন ভারতীয়
- কিছুদিন আগে এয়ারইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে করে ৬৪৭ জন ভারতীয়কে নিয়ে আসা হয়
- এবার বায়ুসেনার একটি বিশেষ বিমান সেখানে গিয়ে ভারতীয়দের উদ্ধার করতে
- কিন্তু অভিযোগ, চিন ইচ্ছাকৃতভাবে সেই বিমানকে আকাশপথ ব্য়বহারের অনুমতি দিচ্ছে না
চিনের যে উহান শহর থেকে মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস, সেখান থেকে বেশ কয়েকজন ভারতীয়কে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে করে দেশে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু এখনও সেখানে বেশ কয়েকজন আটকে রয়েছে বলে খবর। এবার তাদের ফেরত আনতে গিয়েই বাধার মুখে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার এক বিশেষ বিমান, অন্তত অভিযোগ তেমনটাই।
সূত্রের খবর, চিন নাকি তাদের আকাশপথ ব্য়বহারের অনুমতিই দিচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, চিন ইচ্ছাকৃতভাবেই এই কাজ করছে। ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান সি-১৭ গ্লোবমাস্টারকে নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে চিনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চিন। চিন স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা কোনওভাবে ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমানকে আটকাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে করে উহান করে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল ৬৪৭জন ভারতীয়কে। উহানে আটকে পড়া ওই ভারতীয়দের মধ্য়ে অনেকেই ছিলেন পড়ুয়া। যা দেখে পাকিস্তানের পড়ুয়ারাও ইমরান খানকে একই আবেদন করেছিলেন।
উহানে যেহেতু আরও বেশ কিছু ভারতীয় আটকে রয়েছেন, তাই এবার বায়ুসেনার বিশেষ বিমান করে তাঁদের ফিরিয়ে আনার উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার এই বায়ুসেনার বিমানকে কেন চিনে প্রবেশ করতে না-দিয়ে ঘুরপথে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তা এখনও রহস্য়ই।
প্রসঙ্গত, মাসদুয়েক আগে চিনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাস। মনে করা হয়, বাদুড়ের মাংস থেকেই ছড়িয়েছিল এই সংক্রমণ। যে চিকিৎসক সবচেয়ে প্রথমে এই রোগের বিরুদ্ধে সচেতন করেছিলেন সরকারকে, তাঁকে কার্যত সরকারি রোষে পড়তে হয়েছিল। কিছুদিন আগে সেই চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা যান। এদিকে এই সংক্রমণ শুধু চিনেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। একই সঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই মুহূর্তে বিশ্বের ২৫টি দেশে করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। চিনে আক্রান্তের সংখ্য়া ৭৬হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্য়া বেড়ে ছাড়িয়েছে ২হাজার।