সংক্ষিপ্ত
গত মাসে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর UNGA এর ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। সেখানেও তিনি রাষ্ট্রসংঘে জঙ্গিদের কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে চিন ও পাকিস্তান উভয়কেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন গোটা বিশ্ব যেখানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এককাট্টা, সেখানে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিরও উচিত এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।
সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ফের পাকিস্তানকে আড়াল চিনের। ভারত ও আমেরিকার পথে আবারও বাধা দিল চিন। রাষ্ট্রসঙ্ঘে আমেরিকা ও ভারত পাকিস্তানী জঙ্গি সাহিদ মেহমুদের নাম বিশ্ব জঙ্গি বা গ্লোবাল টেররিস্টের তালিকায় রাখার আবেদন করেছিল, যা চিনের তরফে খারিজ করা হয়েছে। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানি জঙ্গিদের আড়াল করার কাজ করল চিন।
গত মাসে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর UNGA এর ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। সেখানেও তিনি রাষ্ট্রসংঘে জঙ্গিদের কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে চিন ও পাকিস্তান উভয়কেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন গোটা বিশ্ব যেখানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এককাট্টা, সেখানে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিরও উচিত এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। নয়াদিল্লি আশা করে পাকিস্তান ও চিন জঙ্গিদের কালো তালিকাভুক্ত করতে একমত হবে। তবে জয়শঙ্করের বক্তব্য যে বেজিং ও ইসলামাবাদের কানে যায়নি, তা তাদের এই আচরণেই স্পষ্ট।
জয়শঙ্কর বলেছিলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘ জঙ্গিদের নিষিদ্ধ করেছে, কিন্তু সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতাকারী দেশগুলো তাদের রক্ষা করতে আসরে নেমেছে। যা বেশ দুর্ভাগ্যজনক। UNSC 1267 রেজোলিউশন সিস্টেম নিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। জয়শঙ্কর আরও বলেন সেপ্টেম্বরে তৃতীয়বারের মতো কোনও জঙ্গিকে রক্ষা করা হয়। এর আগে সেপ্টেম্বরে চিন একজন জঙ্গিকে গ্লোবাল টেররিস্ট হিসেবে তালিকাভুক্ত করার কাজ আটকে দেয়। তৃতীয়বারের মতো চিন এমন পদক্ষেপ নিল। জঙ্গি সাজিদ মীরকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘে দাবি উঠেছিল। কিন্তু চিন তা আটকে দেয়।
চিনের দুমুখো নীতি
চলতি বছরের আগস্টেও ভারত ও আমেরিকার প্রস্তাব ঠেকাতে গিয়ে চিনের দু মুখো চরিত্র সামনে চলে আসে। সেই সময় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি আবদুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব রাষ্ট্রসঙ্ঘের সামনে রাখা হয়েছিল, যা চিনের বিরোধিতার কারণে পাস করা যায়নি।
আবদুল রহমান মক্কিকে গ্লোবাল টেররিস্ট আখ্যায়িত করার পথেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়েছে চিন। ২০২২ সালের জুলাইয়ে, চিন রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) পাকিস্তানি জঙ্গি আব্দুল রেহমান মক্কিকে গ্লোবাল টেররিস্ট হিসাবে তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব বাদ দেয়। জইশের প্রধান সন্ত্রাসী মৌলানা মাসুদ আজহারকেও রক্ষা করেছে চিন।