সংক্ষিপ্ত
চিনে (China) ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা (China Plane Crash)। গুয়াংজি (Guangxi) প্রদেশের উঝোউ শহরের (Wuzhou City) কাছের এক জঙ্গলে, ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের (China Eastern Airlines) একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান।
চিনে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা (China Plane Crash)। সোমবার দুপুরে, ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল একটি চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের (China Eastern Airlines) ফ্লাইট এমইউ৫৭৩৪৫ (Flight MU5735)। এটি একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চিনের গুয়াংজি (Guangxi) প্রদেশের উঝোউ শহরের (Wuzhou City) কাছের এক জঙ্গল এলাকায় ভেঙে পড়ে বিমানটি। তারপর, সেই জঙ্গলে আগুন ধরে গিয়েছে। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় আদৌ কেউ জীবিত আছেন কিনা, থাকলে ক'জন - এই সব বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। চিনা সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে ছুটে যাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
চিনা সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট এমইউ৫৭৩৫ কুনমিং (Kunming) থেকে রওনা দিয়েছিল গুয়াংঝাও (Guangzhou) শহরের উদ্দেশ্যে। স্থআনীয় সময় বেলা ১টা বেজে ১১ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দর থেকে উড়ে গিয়েছিল। ৩টে বেজে ৫ মিনিটে সেটির গুয়াংঝাও পৌঁছানোর কথা ছিল। দুপুর ২ টো বেজে ২২ মিনিট পর্যন্ত বিমানটিকে ট্র্যাক করা গিয়েছিল। সেই সময় সেটি ৩৭৬ নট গতিতে ৩২২৫ ফুট উচ্চতায় উড়ছিল। এরপরই, আর বিমানটির কোনও হদিশ মেলেনি ফ্লাইট ট্র্যাকারে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, এরপরই গুয়াংজি প্রদেশের ওই পাহাড়ি এলাকায়, জঙ্গলের মধ্যে বিশাল আগুন দেখা যায়। যেভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে করে এই দুর্ঘটনায় কারোর জীবিত থাকার সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে।
গত এক দশকে, নিরাপত্তার দিক থেকে, চিনের উড়ান শিল্প নিজেদের বিশ্বের সেরাদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে প্রমাণ করেছে। এর আগে শেষ বড় জেট বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১০ সালে। হেনান এয়ারলাইন্সের একটি এমব্রেয়ার ই-১৯০ আঞ্চলিক জেটবিমান কম দৃশ্যমানতার কারণে ইচুন বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়েছিল। বিমানে থাকা ৯৬ জন যাত্রীর মধ্যে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এদিনের দুর্ঘটনাগ্রস্ত জেটবিমানটি একটি ৬ বছরের পুরোনো বোয়িং ৭৩৭ বিমান। বিমানটি কেন, কীভাবে দুর্ঘটনার মুখে পড়ল, সেই বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য জানা যায়নি।
তবে, বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি, সাম্প্রতিককালে বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এই নিয়ে চিনের পক্ষ থেকে বোয়িং সংস্থাকে সতর্কও করা হয়েছিল। তারপর, বোয়িং সংস্থা তাদের ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের বিমানগুলির জন্য প্রয়োজনীয় নকশা পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিল। ২০২১ সালের নভেম্বরে চিনের অসামরিক উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ চায়না (Civil Aviation Administration of China) তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছিল, এই পরিবর্তিত নকশা, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সমাধান করতে পারে। তারপরও এদিনের দুর্ঘটনা ঘটল।