সংক্ষিপ্ত

রুশ বাহিনী মারিউপোল শহর প্রায় অবরুদ্ধ করে দেখেছে। কিন্তু তারপরেও রুশ বাহিনীর আলটিমেটাম প্রত্যাক্ষান করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশাচুক ইউক্রেনস্কা প্রাভদা জানিয়েছেন, অস্ত্র সমর্পণের বিষয়ে কোনও কথা হতে পারে না। রাশিয়ান পক্ষকে সব বিষয়টি জানান হয়েছে। মারিউপোলের অধিকার ছাড়তে নারাজ ইউক্রেন। 
 

রাশিয়ার (Russia) হামলায় বিপর্যস্ত ইউক্রেনের (Ukraine) বিস্তীর্ণ এলাকা।  ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর মারিউপোল (Mariupo) প্রায় দখল করে নিয়েছে রুশ সেনা। এই অবস্থায় রাশিয়া মারিউপোলে  ইউক্রেনীয় সেনাকে আত্মসমর্পণ করার জন্য চাপ তৈরি করেছে। কিন্তু ইউক্রেনের রাশিয়ার আহ্বান প্রত্যাক্ষান করেছে। স্পষ্ট করে জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে সামান্য পরিমাণে খাবার, জল মজুত রয়েছে। তাই দিয়েই তারা লড়াই করবে। রাশিয়া পাল্টা বলেছে, মারিউপোল শহরে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে। 

রুশ বাহিনী মারিউপোল শহর প্রায় অবরুদ্ধ করে দেখেছে। কিন্তু তারপরেও রুশ বাহিনীর আলটিমেটাম প্রত্যাক্ষান করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশাচুক ইউক্রেনস্কা প্রাভদা জানিয়েছেন, অস্ত্র সমর্পণের বিষয়ে কোনও কথা হতে পারে না। রাশিয়ান পক্ষকে সব বিষয়টি জানান হয়েছে। মারিউপোলের অধিকার ছাড়তে নারাজ ইউক্রেন। 

মারিউপোল, ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্ব কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর। আর সেই কারণে দীর্ঘ দিন ধরেই রাশিয়ান সেনাদের টার্গেট রয়েছে এই শহরের ওপর। এই শহরের বেশিরভাগ মানুষই রাশিয়ানভাষী। এটি একটি বন্দর শহর। মারিউপোল দখল রাশিয়াকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে একটি স্থল করিডোর সুরক্ষিত করতে সাহায্য করবে। যা ২০১৪ সালে মস্কো ইউক্রেনের সঙ্গে এটিকে যুক্ত করেছিল। 

রাশিয়ান হামলায় ইউক্রেনের সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির মধ্যে অন্যতম হল মারিউপোল। এই শহরের প্রবল বোমা  ও গোলা বর্ষণ করেছে রুশ সেনা। গুঁড়িয়ে দিয়েছে আবাসিক এলাকা। এই শহরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ রয়েছে। তারাদের কাছে সামান্য খাবার ও জল মজুত রয়েছে। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ  ও গ্যাস পরিষেবা। কিন্তু তারপরেও স্বাধীনতা বিসর্জন দিতে নারাজ ইউক্রেনবাসী। মাতৃভূমি আঁকড়ে বসে রয়েছেন শহরের বাসিন্দারা। 

অন্যদিকে রাশিয়া ফের ঘোষণা করেছে ইউক্রেনের তারা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ দিকে একটি জ্বালানি স্টোরেজ সাইট ধ্বংস করে দিয়েছে। অন্যদিকে এদিনও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষ থেকে ইজরায়েলকে তাদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছে। বলেছে, ইহুদিদের উচিৎ তাদের পাশে দাঁড়ানো। রাষ্ট্র সংঘের হিসেব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় ৩ কোটিরও বেশি মানুষ শরণার্থী হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই আশ্রয় নিয়েছে পোল্যান্ডে। ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়াকে একঘরে করে দিয়েছে। আমেরিকা ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশই আর্থিক অবরোধ জারি করেছে। তবে তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ পুতিন। 

রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পথে ভারত, উস্কে দিল আন্তর্জাতিক বিতর্ক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কি আবারও ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে, চিন্তা বাড়াচ্ছে আমেরিকা ও চিন

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে, এটা জানিয়ে ইউক্রেন সেনা বাহিনীতে দরখাস্ত ৯৮এর বৃদ্ধার