সংক্ষিপ্ত
যে অজগর সাপ আস্ত সবকিছু গিলে ফেলে বলে প্রবাদ রয়েছে সেই অজগরকেই এবার যেতে হল কটনমাউথ সাপের পেটে। আর সেই ছবি রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অবাককরা কাণ্ড ঘটেছে ফ্লোরিডায়। একটি কটনমাউথ সাপ একটি ট্র্যাকারসহ একটি আস্ত অজগর সাপ খেয়ে ফেলেছে। যে অজগর সাপ আস্ত সবকিছু গিলে ফেলে বলে প্রবাদ রয়েছে সেই অজগরকেই এবার যেতে হল কটনমাউথ সাপের পেটে। আর সেই ছবি রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখানেই শেষ নয়, কনটমাউথটি একটি ট্র্যাকারও গিলে ফেলেছিল। সেই ট্র্যাকারের সূত্র ধরেই ছবিটি হাতে পেয়েছে মিয়ামি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
মিয়ামি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সাপের গতিবিধি জানতে ও সেই বিষয় নিয়ে পড়াশুনা বা গবেষণা করার জন্য ট্র্যাকার লাগিয়েছিল। সেই ট্র্যাকারের মাধ্যমে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ মৃত অগজরটির সন্ধান পায়। ট্র্যাকের মাধ্যমে যে ছবিটি সামনে এসেছে তারই সূত্র ধরে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন বার্মিজ অজগরটিকে দেশীয় সাপটি খেয়েছিল। তবে মাথার দিক থেকে নয়, লেজের দিক থেকেই খেতে শুরু করেছিল।
'আপনি হয়তো খবরে শুনেছেন যে ববক্যাটটি এভারগ্লেডের একটি আক্রমণাত্মক বার্মিজ অজগর থেকে ডিম চুরি করে খেয়েছে। কিন্তু, এটিই একমাত্র দেশীয় প্রজাতি নয় যে লড়াই করছে! একটি অজগর যার ট্র্যাকিং ট্রান্সমিটার বসানো ছিল। চিড়িয়াখানা মিয়ামির শল্যচিকিৎসকদের দ্বারা সম্প্রতি পাওয়া গেছে অন্য একটি সাপ; একটি নেটিভ কটনমাউথ, যা ওয়াটার মোকাসিন নামেও পরিচিত। আপনি এই এক্স-রে বা রেডিওগ্রাফে কটনমাউথের ভিতরে অজগরটির মেরুদণ্ড এবং ট্রান্সমিটার দেখতে পারেন, যেটি চিড়িয়াখানা মিয়ামির পশু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল' জানিয়েছেন মিয়ামি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
ট্র্যাকারের সূত্র ধরে আরও জানা গেছে কটনমাউথ সাপটি দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৩ ইঞ্চি। আর বার্মিজ অগজরের দৈর্ঘ্য ৩৯ ইঞ্চি। অন্যদিকে এই ঘটনাটিকে স্থানীয় পশুপ্রেমীরা আক্রমণাত্মক ঘটনা হিসেবেই বর্ননা করছেন। তাঁরা গোটা বিষয়টিকে বিদেশী সাপের বিরুদ্ধে দেশী সাপের ফাইটিং ব্যাক হিসেবে দেখছে।
তবে ছবিটি ও পুরো ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়া বা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে যথেষ্ট উৎসহজনক। অনেকেটেই এটি শেয়ার করেছেন। তবে এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ফ্লোরিডার নেটিভ প্রজাতির তৈরি এটি।
বার্মিজ অজগর হল একটি বড় অ-বিষাক্ত প্রজাতি যাকে ফ্লোরিডায় আক্রমণাত্মক বলে মনে করা হয়। তারা এভারগ্লেডস ইকোসিস্টেমে পাওয়া যায় এবং কয়েক দশক ধরে জলাভূমি ইকোসিস্টেমের ক্ষতি করছে। এই মাসের শুরুর দিকে, ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিশন বার্মিজ অজগর শিকার করার জন্য একটি চ্যালেঞ্জের আয়োজন করেছিল যাতে শত শত মানুষ অংশ নিয়েছিল।