সংক্ষিপ্ত
রেহাই পেলেন না বাংলাদেশের বিখ্যাত অভিনেত্রী পরীমণি। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের রায়ে কারাদন্ড হল তাঁর।
রেহাই পেলেন না বাংলাদেশের বিখ্যাত অভিনেত্রী পরীমণি (Pori Moni)। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের (Dhaka court) রায়ে কারাদন্ড হল তাঁর। ঢাকার বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় (narcotics case) আপাতত কারাবাসে (jail) থাকতে হবে অভিযুক্ত পরীমণিকে। শুক্রবার ঢাকা আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর (denied bail) করেনি। পরীমণির সঙ্গে কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে।
মাদক মামলার তদন্তকারী অফিসার আদালতে পরীমণিকে না ছাড়ার আবেদন জানান। তিনি ছাড়া পেলে মামলাকে প্রভাবিত করেত পারেন বলে আশংকা করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা আরও জানিয়ে ছিলেন জিজ্ঞাসাবাদে সময় পরীমণি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশকে জানিয়েছেন। তার থেকে আরও তথ্য জানা যেতে পারে বলে মনে করা হয়। শুক্রবার শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল। পরীমণি ও দীপুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে দু’দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাদের।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, দ্য রাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা RAB পরীমণির বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। প্রকাশিত খবরে এও দাবি করা হয় যে অভিনেত্রী পরীমণির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে ৩০ বোতল বিদেশি দামি মদ উদ্ধার হয়েছে। সেই সঙ্গে পরীমণির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে এমনকিছু ব্লটিং পেপার যা এলএসডি সেবনে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও উদ্ধার হয় নেশার ঘোর লাগানো কিছু মাদক।
মাস দেড়েক আগে পরীমণি ঢাকার এক প্রথিতযশা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা অভিযোগ আনেন। এই মর্মে ১৪ জুন তিনি সাবার পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করেন। পরীমণি তাঁর এফআইআর-এ জানান, তিনি এবং তাঁর কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ করিম জিম্মি, ওমি এবং তাঁর তুতো আত্মীয় বন্নি দুটো আলাদা গাড়িতে করে ৮ জুন রাতে উত্তরার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছিলেন। সেই রাতে আশুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে তাঁরা পৌঁছন বলেও এফআইআর- জানান পরীমণি। এখানে তাঁকে মহম্মদ ও ওমি জোর করে নেশাযুক্ত পানীয় পান করায় বলে অভিযোগ করেন অভিনেত্রী।
এফআইআর-এ আরও অভিযোগ করে পরীমণি জানান যে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাঁকে অশ্লীলভাবে স্পর্শ করেছিলেন মহম্মদ এবং ওমি। এমনকী বাধা দেওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয় বলেও এফআইআর-এ অভিযোগ করেন তিনি। যদিও, পরবর্তিকালে তদন্তকারী অফিসাররা জানান, বহু স্থানে পরীমণি-র দেওয়া বয়ানের অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।