সংক্ষিপ্ত
ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর হাঙ্গেরির ভারতীয় দূতাবাস থেকে একটি দল জোহানির বর্ডার আউটপোস্টে পাঠানো হয়। হাঙ্গেরিতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস বলে যে তারা ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের প্রবেশের সুবিধার্থে সমস্ত সাহায্য দেবে।
ইউক্রেনের আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে সেখানে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে রীতিমত সমস্যায় পড়েছে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়িয়েছিল হাঙ্গেরি। হাঙ্গেরিতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্য নিয়ে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধার করার কাজ শুরু হয়।
হাঙ্গেরির এই সহৃদয়তায় মুগ্ধ ভারত ধন্যবাদ জানাল সেদেশকে। রবিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (External Affairs Minister S Jaishankar) হাঙ্গেরিয়ান বিদেশমন্ত্রী (Hungarian FM) পিটার সিজার্তোকে (Peter Szijjártó) ফোন করেন। তাঁদের মধ্যে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়। পরে জয়শঙ্কর সিজার্তোকে ধন্যবাদ জানান। পরে গোটা বিষয় নিয়ে টুইট (Tweet) করেন জয়শঙ্কর।
ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর হাঙ্গেরির ভারতীয় দূতাবাস থেকে একটি দল জোহানির বর্ডার আউটপোস্টে পাঠানো হয়। হাঙ্গেরিতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস বলে যে তারা ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের প্রবেশের সুবিধার্থে সমস্ত সাহায্য দেবে। এজন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় হাঙ্গেরির সরকারও।
রুশ হামলার পর ইউক্রেন অসামরিক বিমানপথ ও তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এবার ভারত স্থল পথে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে। ইউক্রেনের সাথে হাঙ্গেরির সীমান্ত রয়েছে। তাই হাঙ্গেরির সাহায্য নেওয়ার ভাবনাচিন্তা করে ভারত। বর্তমানে, প্রায় কুড়ি হাজার ভারতীয়, যার মধ্যে বেশিরভাগই ছাত্র, ইউক্রেনে আটকে আছে।
ভারতীয় দূতাবাস টুইট করে জানায়, "হাঙ্গেরিতে ভারতীয় দূতাবাস থেকে একটি দলকে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করছে। ভারতীয় দূতাবাস জানায়, ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য রোমানিয়া আর হাঙ্গেরি দুটি দেশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতীয় বিশেষত ছাত্রদের এই দুটি দেশের চেক পয়েন্টে এসে দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিয়েভ থেকে হাঙ্গেরির দূরত্ব ৮২০ কিলোমিটার। এই রাস্তা পার হতে সময় লাগে ১১-১৩ ঘণ্টা। বহু ভারতীয় পড়ুয়া এই রাস্তা পেরিয়ে হাঙ্গেরিতে আশ্রয় নেয়।
পরিসংখ্যান বলছে দেড় লক্ষেরও বেশি ইউক্রেনীয় পোল্যান্ড, মলদোভা এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলিতে পালিয়ে গেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সতর্কতা যে যুদ্ধ বাড়লে এই সংখ্যা চার মিলিয়ন পর্যন্ত বাড়তে পারে। এদিকে, মস্কো জানিয়েছিল গোমেল শহরে তারা ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি বৈঠক (Peace meet) নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি। কিন্তু রাশিয়ার এই প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গেই নাকোচ করে দেয় ইউক্রেন। জেলেনস্কি জানিয়েছেন বেলারুশে রাশিয়ার সঙ্গে তাঁরা কোনও রকম আলোচনা করবে না।