সংক্ষিপ্ত

ভূমিকম্পের কবলে আফগানিস্তান। এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, আফগানিস্তানের পূর্বাংশে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আফগানিস্তানের খোস্ত শহরের ৪৪ কিমি দূরে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে জানা গিয়েছে

প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। পাকিস্তানের এক অংশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে কম্পনের জেরে প্রায় লন্ডভন্ড আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভূমিকম্পের জেরে আফগানিস্তানে প্কায় ২৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে তেমনই জানিয়েছিল আফগান প্রশাসন। পরে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে আফগানিস্থানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৯০০ জনের।  আহতের সংখ্যা বহু। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১।  এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, আফগানিস্তানের পূর্বাংশে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আফগানিস্তানের খোস্ত শহরের ৪৪ কিমি দূরে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে জানা গিয়েছে

সংবাদ সংস্থা এএফপি আরও জানিয়েছে দুর্গম ও পাহাড়ি এলাকায় ভূমিকম্পের কারণে রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হটেছে। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত তেমনভাবে উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি বলেও অভিযোগ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। জল ও খাবারের হাহাকার দেখা গিয়েছে। অনেত জায়গায় ওষুধপত্রও ঠিক মত নেই বা পৌঁছে দেওয়ায় অনীহা রয়েছে আফগান প্রশাসনের । তেমনই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। কাবুলের এক বাসিন্দা বলেছেন, আফগানিস্থানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। 

আমেরিকার ভূস্বর্বেক্ষণ বিভাগ জানিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব আফগাানিস্তানের খোস্ত শহর থেকে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্কায় ৫১ কিলোমির গভীরে ছিল কম্পনের কেন্দ্রবিন্দু। পাকতিকা প্রদেশ এলাকাটি জনবহুল হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে জানিয়েছেন তালিবান শাসকদের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান মহম্মদ নাসিম হাক্কানি। 
 

ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ভূমিকম্পের বেশ কিছু ছবি। যা রীতিমত ভয়ঙ্কর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আর উদ্ধারকাজের পাশাপাশি ত্রাণ বন্টনের জন্যই তালিবান প্রশাসন সাহায্য চেয়েছে। যে ছবিগুলি শেয়ার করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। অধিকাংশ বাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। মৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে। স্টেচারে করে রক্তাক্ত অবস্থায় জখমদের উদ্ধার করার  কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার সাহায্যকারী দল পাঠানোর আবেদন জানান হয়েছে। 
 

বিস্তারিত আসছে..