সংক্ষিপ্ত

খাদ্য, পানীয়, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে নাজেহাল ও বিপর্যস্ত দ্বীপরাষ্ট্রের মানুষ। এরই মধ্যে জীবিকা নির্বাহের জন্য নানা পথ বেছে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারাও। 

রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি ও দীর্ঘ বিদ্যুতের ব্ল্যাকআউটের মুখোমুখি হয়ে শ্রীলঙ্কার ২২ মিলিয়ন মানুষ বর্তমানে খাবার, জল আর ওষুধের গুরুতর সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দেশটি এই প্রথম এত খারাপ অবস্থার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটারের ছবি। শ্রীলঙ্কার একসময়ের জাতীয় দলের ক্রিকেটার রোশন মহানামাকে দেখা গিয়েছে কলম্বোর একটি পেট্রল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রেতাদের চা ও রুটি বিলি করতে। সেই ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। 

টুইটারে নিজের ছবি শেয়ার করে মহানামা লিখেছেন পেট্রল পাম্পে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের হাতে চা ও খাবার তুলে দিতে পেরে গর্বিত। তিনি পোস্ট করে বলেন ওয়ার্ড প্লেস ও উইজেরামা মাওয়াথার চারপাশে পেট্রলের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের জন্য কমিউনিটি মিল শেয়ার করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন মানুষের সারি দিন দিন বড় হচ্ছে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। 

দেশের হাল ধরতে ক্ষমতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। তবে লাভ বিশেষ হয়নি। যে তিমিরে ছিল দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা, এখনও সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। খাদ্য, পানীয়, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে নাজেহাল ও বিপর্যস্ত দ্বীপরাষ্ট্রের মানুষ। এরই মধ্যে জীবিকা নির্বাহের জন্য নানা পথ বেছে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারাও। কার্যত জীবন বাঁচানোর লড়াই করছেন তাঁরা। 

উল্লেখ্য স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম এত খাদ্যসংকটে ভুগছে গোটা দেশ। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানির জন্য নেই ডলার। মজুত নেই খাদ্যও। শ্রীলঙ্কা পেট্রল পাম্প পাহারা দিতে সশস্ত্র পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করেছে। ইতিমধ্যেই দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল ও সরকারি অফিস। এপ্রিল মাসে শ্রীলঙ্কা তার ৫১ বিলিয়ন ডলারের বিদেশী ঋণ খেলাপি হয়েছে, এবং একটি বেলআউটের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে আলোচনা করছে। শ্রীলঙ্কা আইএফএফএর কাছে বেলআউট চেয়েছে। আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদেক অন্যতম দাবি হল কলম্বোর রাষ্ট্রীয় উদ্যোগগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে হবে। যারমধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইনস। এর ঋণ এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।  

শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে সরকার, তেল আমদানির জন্য তিনটি জাহাজ চালাতে সমর্থ নয়। জাহাজগুলি তাদের কার্গো ছাড়ার জন্য টাকা চেয়েছে। যা দেওয়া সম্ভব নয়।  সেগুলি কলম্বো বন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছে।