সংক্ষিপ্ত
জাপানের দক্ষিণ পূর্বে হনসুতে সোমবার বড়সড় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পায়ের তলার মাটি। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৫ ম্যাগনিটিউড।
জোরালো ভূমিকম্পে (earthquake) কাঁপল জাপান (Japan)। জাপানের দক্ষিণ পূর্বে (southeast) হনসুতে (Honshu) সোমবার বড়সড় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পায়ের তলার মাটি। এদিন হনসুতে ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৫ ম্যাগনিটিউড(magnitude 6.5)। জিএফজেড জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফল জিও সায়েন্সেসের (GFZ German Research Centre for Geosciences) তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই তথ্য। মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার অর্থাছ ৬.২১ মাইল গভীরে ছিল কম্পনের উৎস। খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর সামনে আসেনি।
সোমবার সন্ধেবেলায় এই কম্পন অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে সোমবার সন্ধেবেলা ৬.১০ মিনিটে এই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। জাপান পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেটগুলির সীমান্তবর্তী 'রিং অফ ফায়ার' এলাকায় অবস্থিত। এই অঞ্চলটি বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসাবে পরিচিত। ফলে প্রায়শই ভূমিকম্পের কবলে পড়ে এই দেশ। এর আগে প্রায় ১০ বছর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ একটি ভয়ানক ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছিল জাপান। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৯। তারপর আছড়ে পড়েছিল বিশাল সুনামির ঢেউ। বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছিল সেই সুনামিতে।
মার্চ মাসের ২০ তারিখে ৭.২ মাত্রার জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে গোটা দেশ, এমনটাই জানা গিয়েছে। ভূমিকম্পের উৎস জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে। স্বাভাবিকভাবেই, সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়। আশঙ্কা করা হয়, ৩ ফিট উচ্চতারও বেশি উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।
জাপানের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.২। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভূমিকম্পের পরপরই সুনামির প্রথম তরঙ্গটি জাপানের উপকূলে আঘাত হানে। ঢেউ-এর উচ্চতা ছিল, প্রায় ৩.২ ফুট। তবে সেই খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৯ মিনিটে এই ভূমিকম্পের ঘটনাটি ঘটে। মিয়াগি নামে জাপানের উত্তরপূর্বের এক অঞ্চলে, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার গভীরতায় ভূমিকম্পটির এপিসেন্টার ছিল।
বড় মাপের সুনামি যদি নাও আসে, তা সত্ত্বেও এই ভূমিকম্পে বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়। পরমাণু কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করা হয়। এছাড়া, বন্ধ করে দেওয়া হয় বুলেট ট্রেন পরিষেবাও। জাপানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনামির সতর্কতা জারির পরে, উপকূলীয় অঞ্চলে বাসিন্দারা দ্রুত উচ্চস্থানে চলে যান। কোনও হতাহতের খবর পাওয়া মেলেনি।