সংক্ষিপ্ত
- ট্রাম্প বা মোদী পেলেন না নোবেল শান্তি পুরষ্কার
- এই বছর এই সম্মান পেলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদ আলি
- এরিত্রেয়ার সঙ্গে সীমান্ত-দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্যই তাঁকে এই বছর পুরষ্কৃত করা হল
- নোবেল কমিটির আশা শান্তির লক্ষ্যে তিনি য়ে কাজ করছেন, তাকে আরও এগিয়ে দেবে এই স্বীকৃতি
ট্রাম্প বলেছিলেন, শান্তির জন্য় এই বছর নোবেল পাওয়ার কথা তাঁরই। আবার কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করে 'শান্তি' ফেরানোর জন্য ভারতের প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার দেওয়া উচিত এমন দাবিও উঠেছিল ভারতে। কিন্তু এঁরা কেউই নন, ২০১৯ সালে শান্তির জন্য নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হল ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদ আলি-কে।
টুইটার হ্যান্ডেলে নরওয়ের নোবেল কমিটি জানিয়েছে, শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে এবং এরিত্রেয়ার সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্ব মেটাতে তাঁর অবদানের জন্যই তাঁকে এই বছর নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হল। তবে এই পুরষ্কার, ইথিওপিয়া এবং পূর্ব ও উত্তর পূর্ব আফ্রিকায় শান্তি ফেরাতে যারা যারা কাজ করছেন তাঁদের সকলের বলেই জানিয়েছে নোবেল কমিটি।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ইথিওপিয়ার প্রদানমন্ত্রী হন আবিই আহমেদ। শুরুতেই তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, এরিত্রেয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করতে চান। এরপর এরিত্রেয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়াইয়াস আফওয়ের্কি-র সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুতই তিনি শান্তির চুক্তির ধারা তৈরি করেছিলেন। ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক সীমানা কমিশনের দেওয়া নির্দেশ মানার বিষয়েও তিনি বরাবর সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
একটি টুইট করে নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ইথিওপিয়ায় শান্তি ফেরানোর কাজ শেষ হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদ আলি-র বেশ কিছু সংস্কারের কাজ সেই দেশের মানুষকে ভাল জীবনের ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আবিই আহমেদ পুনর্মিলন, সংহতি এবং সামাজিক ন্যায়ের জন্য কাজ করেছেন। নোবেল কমিটি আসা প্রকাশ করেছে, এই স্বীকৃতি, তাঁর এইসব কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে।