সংক্ষিপ্ত
- অস্ট্রেলিয়ায় এখন রীতিমতো বৃষ্টির ঘাটতি
- দাবানল-কে ঘিরে অস্ট্রেলিয়া গত ২ মাস ধরে শিরোনামে
- এই পরিস্থিতিতে সেই দেশে উঠ নিধন যজ্ঞ
- যা অস্ট্রেলিয়া নিয়ে নয়া বিতর্কের সূচনা করল
অস্ট্রেলিয়া জুড়ে দাবানলের পাশাপাশি তীব্র খরা শুরু হয়েছে। উটেরা প্রচুর জল খেয়ে নেয়। তাই জল সঞ্চয়ের জন্য ১০ হাজার উট হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কট মরিসন প্রশাসন। প্রশিক্ষিত শ্যুটাররা হেলিকপ্টারে থেকে গুলি করে উটগুলিকে হত্যা করছেন। গত বুধবার থেকে উট মারার কাজ শুরু হয়েছে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায়। পশুপালকেরা তাঁদের উটগুলি নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নির্দিষ্ট বধ্যভূমিতে নিয়ে যাচ্ছেন। উট মারা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। যদিও সে সবে কান দিচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া সরকার। মরিসন প্রশাসনের যুক্তি, উট প্রচুর জল খায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য পর্যাপ্ত জল সঞ্চয় করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি উটগুলি জলের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় বিপত্তি বাড়ছিল। অনেক সময় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে উটগুলি অন্য গাছগুলিও নষ্ট করছে।
অস্ট্রেলিয়া প্রশাসনের দাবি, সে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আনাঙ্গু পিৎজানজাতজারা ইয়ানকুনিতজাতজারা বা সংক্ষেপে এপিওয়াই এলাকায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রায় আড়াই হাজার মানুষের বাস। উটগুলি ওই এলাকায় ঢুকে পড়ছে এবং পানীয় জলে ভাগ বসাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসানের যুক্তি, অনেক সময় দুর্বল উটগুলি জলের পড়ে মারা যায়। যার জেরে জলের গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলি দূষিত হয়ে পড়ছে। উট মারার পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ বিভাগের যুক্তি, ভয়াবহ খরা পরিস্থিতিতে ‘প্রাণী কল্যাণের বিষয়টি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে’। পরিবেশ বিভাগের আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন, সাধারণত স্থানীয় বাসিন্দারাই উটগুলি ধরে বিক্রি করে দিতেন। কিন্তু শুঙ্ক পরিবেশের জন্য বিশালাকার উটগুলি এক জায়গায় জড়ো হওয়ায়, সেগুলি ধরতে সমস্যা হচ্ছে। পরিবেশ বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পরিবেশের কল্যাণেই উট-হত্যার সিদ্ধান্ত।’’
অস্ট্রেলিয়া প্রথম উট আমদানি করেছিল। এর পরের ছ’দশকে ভারত থেকে ২০ হাজার উট আমদানি করেছে অস্ট্রেলিয়া। বর্তমানে সে দেশে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বন্য উট রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মরু অঞ্চলে ১০ লক্ষের বেশি উট এখনও রয়েছে।