সংক্ষিপ্ত

কানাডায় গত ৫০ বছর পর এই প্রথম জরুরি আইন বলবত করা হয়েছে। আগামী ৩০ দিন এই আইন লাগু থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। কিন্তু আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রীতিমত সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে জাস্টিন ট্রুডোরকে।


অটোয়াতে জানুয়ারিতে শুরু হওয়া 'ফ্রিডম কনভয় ২০২২' (Freedom) যদি দিন যাচ্ছে তত বেশি করে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াও উত্তাল হয়েছে কানাডার এই বিষয়টি নিয়ে। কানাডিয়ান সরকারের কোভিড টিকাকরণ ও করোনা নীতির বিরুদ্ধে প্রচুর ট্রাক চালক প্রতিবাদে সামিল হেয়েছ। ১৮ দিন ধরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।  আইনে বলা হয়েছিল সীমান্ত অতিক্রমকারী ট্রাক চালকদের সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু ট্রাকের চালকরা তা মানতে রাজি নয়। টানা ৬ দিন ধরে তারা ডেট্রয়েট ও অন্টারিওয়র মধ্যে অ্যাম্বাসেডর ব্রিজ অবরোধ করে রেখেছে।  বর্তমানে বাণিজ্য প্রায় ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় কানাডায় (Canada) জরুরি আইনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের প্রধাননন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এদিন এই আন্দোলব ছড়িয়ে পডেছে আলবার্টা ও ম্যানিটোাবর সীমান্তেও। যদিও এই সীমান্তগুলিও সোমবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

কানাডায় গত ৫০ বছর পর এই প্রথম জরুরি আইন বলবত করা হয়েছে। আগামী ৩০ দিন এই আইন লাগু থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন জাস্টিন 
ট্রুডো। কিন্তু আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রীতিমত সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে জাস্টিন ট্রুডোরকে। কানাডা ইন্ডিয়া গ্লোবাল ফোরাম ব্রিটিশ  কলম্বিয়া কানাডা নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে ট্রাক চালকদের আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাস্টিন ট্রুডোর উচিৎ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে কী করে আলন্দোলন প্রতিহত করতে হয় তা নরেন্দ্র মোদীর থেকে শিখে নেওয়া। কথা প্রসঙ্গে সংঘঠনের পক্ষ থেকে দিল্লির উপকণ্ঠা চলা কৃষক আন্দোলনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে ফ্রিডম কনভয় ২০২২ যে দিকে মোড় নিচ্ছে তা দেখে তাঁরা যথেষ্টই মর্মাহত। আন্দোলনকারীদের ওপর এভাবে শক্তিপ্রয়োগ করা যথাযথ নয়।  সেই প্রসঙ্গেই তাঁরা তুলে ধরেছেন ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে কৃষক আন্দোলন প্রতিহত করেছিলেন। এই আন্দোলন মোকাবিলা করার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে মোদীকে অনুসরণ করার কথাও বলা হয়েছে। 

তবে এখনও পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনায় বসেনি কানাডার প্রশাসন। আন্দোলনকারীদের নিয়ে তেমন কোনও বার্তাও দেননি সেদেশের প্রধানমন্ত্রী। যা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন সংগঠনটি। বলা হয়েছে মোদী শান্তিপূর্ণ ও সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক উপায়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা কৃষক আন্দোলন প্রতিহত করেছিলেন। সেখান থেকেই শিখতে হবে কানাডার প্রধানকে। 

অন্যদিকে ভারতে যখন কৃষক আন্দোলন চলছে তখন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দেশের সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন শান্তিপূর্ণভাবে কৃষকদের প্রতিবাদ সমাধান করুন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন তাঁর সরকার কৃষকদের পক্ষে রয়েছে। কিন্তু এখন ট্রু়ডো কারও পরামর্শ গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ করেছে।