সংক্ষিপ্ত
- বীভৎস বিড়ালের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
- সারা শরীরে এক ইঞ্চিও লোম নেই এই বিড়ালের
- চোখের মণি দুটি না থাকায় ভয় লাগে এটিকে দেখে
- তবে এই বিড়ালই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার নয়া সেনসেশন
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিনই পশু-পাখিদের আজব আদব-কায়দার নামা ভিডিও ঝড় তোলে। তাদের অদ্ভূত সব কীর্তি কলাপে বয়ে যায় লাইক ও কমেন্টের বন্যা। এবার সোশ্যাল মিডিয়ার নতু সেনসেশন হয়ে উঠেছে এক বিড়াল। যাকে দেখলে ভয় পাবেন অনেক মার্জারপ্রেমীও। সাধারণত বাঘের মাসির সারা শরীর তিলতুলে লোম দিয়ে ঢাকা থাকে। এমন বিড়ালই আমরা দেখে অভ্যস্ত। তবে জ্যাস্পার নামের এই বিড়ালটি একেবারে আলাদা। তার শরীরে নেই কোনও লোম। কেবল দেখা যাচ্ছে চামড়া। তাকে আরও বীভৎস বানিয়েছে মণি হীন চোখদুটি। জ্যাস্পারের চোখের জায়গায় রয়েছে শুধুই দুটি বড় গর্ত। তবে এই অদ্ভূত চেহারা নিয়েই সোশ্যালা মিডিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছে এই মার্জার। ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, ফেসবুকে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে তার অনুরাগী সংখ্যা। বিড়াল শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হয়েও এই অন্য চেহারার জন্যই তার নতুন ভিডিওর অপেক্ষায় বসে থাকেন সকলে।
তবে জ্যাস্পার প্রথম থেকেই অদ্ভূত দর্শন ছিলনা। জন্মের সময় আর পাঁচটা বিড়ালের মতই ছিল সে। তার তুলতুলে মিষ্টি তেহারা দেখেই জ্যাম্পারকে নিজের পোষ্য বানান কেলি। এরপরেই হার্পেস ভাইরাসের শিকার হয় বিড়ালটি। যাতে শরীরের সমস্ত লোম ঝড়ে যায়। তবে জ্যাস্পারের জন্য আরও বিপদ তখনও অপেক্ষা করছিল। কর্নিয়াল আলসরে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাঁর ডান চোখও৷ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হতে থাকে যে, সেটি বাদ দিতে হয়। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয় চোখটিও বাদ পড়ে জ্যাস্পারের৷ তবে দৃষ্টিশক্তি হারালেও আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে এখন বেশ মানিয়ে নিয়েছে বছর বারোর জ্যাস্পার৷ ২০১৯-এ জ্যাস্পারের হাল্কা স্ট্রোকও হয়৷ তবে এখন পুরোপুরি সুস্থ সে৷
মানুষের সমাজে একটু অদ্ভূত দর্শন চেহারা হলে যেমন নানা কথা ভেসে আসে তেমনি জ্যাম্পারকে নিয়েও তার মালিক কেলিকে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবে যেভাবে চিকিৎসার পর জ্যাম্পার স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে তাতে খুশি তার মালিক। ১২ বছরের জ্যাম্পার আরও কিছু বছর বাঁচবে এমনটাই আশা করছেন পশুচিকিৎসকরা। আর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ইতিমধ্যে জ্যাম্পার অনুপ্রানিতও করে ফেলেছে বহু পশুপ্রেমীকে।
আশির দশকের ভূতের ছবিতে ভয়পাওয়ানো দৃশ্যের কথা মনিয়ে করিয়ে দেওয়া জ্যাস্পারের বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যা ৭৮ হাজারের বেশি। এছাড়াও টিকটকে তাকে ফলো করে ৫০ হাজার মানুষ। ফেসবুকেও তার জ্যাস্পারের ভক্ত সংখ্যা ১২ হাজারের বেশি। তার নতুন ছবি ও ভিডিওর জন্য সবসময়ে বসে থাকে ভক্তকূল। যা নিয়মিত পোস্ট করেন জ্যাস্পারের মালিক।