সংক্ষিপ্ত
মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দ হচ্ছেন নয়া আফগান রাষ্ট্রপ্রধান। কাবুলে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শেষে নেতৃত্ব ঠিক করল তলিবান।
পাকিস্তান যা চাইছিল, তাইই হল। দোহায় যে তালিবান নেতাদের সঙ্গে বসে শান্তি আলোচনা করেছিলেন মার্কিন ও ন্যাটো কর্তারা, নয়া আফগান সরকারে সেই নেতাদেরই জায়গা হচ্ছে না। গত কয়েকদিন ধরেই কাবুলে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলছিল মোল্লা আব্দুল ঘানি বরাদর েবং দোহার অন্যান্য তালিবান নেতাদের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানির। শেষ পর্যন্ত হাক্কানিরা যে বরাদরদের হঠিয়ে দিয়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছে।
সোমবার, আফগানিস্তানে নতুন সরকারের পদাধিকারীদের নাম চূড়ান্ত বলে জানালো তালিবানরা। সিএনএন-নিউজ ১৮-ের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী আফগান রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছে মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দ। তালিবান প্রধান মোল্লা আখুন্দজাদই, হাসান আখুন্দকে এই পদে মনোনীত করেছে। তার দুই সহকারী অর্থাৎ উপরাষ্ট্রপ্রধান হবে মোল্লা বরদার আখুন্দ ও মোল্লা আব্দুস সালাম। তালিবান মুখপাত্র জাবিবুল্লাহ মুজাহিদই মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দের মুখপাত্র হবেন। দোহা থেকে তালিবানদের পক্ষে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করার কাজ করা শের মহম্মদ তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী হবেন বলে মনে করা হয়েছিল। তবে েদিন যা খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে পদটি মোল্লা আমির খান মুত্তাকির হাতে থাকবে।
তবে সবথেকে বড় বিষয় হল, পরবর্তী আফগান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হতে চলেছে সিরাজুদ্দিন হাক্কানি। ভয়ঙ্কর জঙ্গি দল হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান তিনি। আফগান শান্তিচুক্তির আগে পর্যন্ত তার নাম আমেরিকার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকায় ছিল। তার থেকেও বড় কথা ই হাক্কানি নেটওয়ার্ক তালিবানদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে পাকিস্তানের সবথেকে কাছের। বস্তুত হাক্কানি নেটওয়ার্ক পাক মদতেই গড়ে উঠেছিল। গত কয়েকদিন ধরে আইএসআই প্রধান লেফট্যানেন্ট হামিদ ফয়েজের কাবুল সফর ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। আফগান মসনদে হাক্কানিদের জায়গা পাকা করতেই তিনি কাবুলে েসেছেন বলে দাবি করেছিলেন আফগান বিশেষজ্ঞরা। হাক্কানিদের সঙ্গে মিলে আফগান সেনাবাহিনীকে নতুন করে গড়ে তুলবে পাকিস্তান, আর তাকে ভারতের বিপক্ষে কাজে লাগাবে - েমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দ সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। তবে সে বর্তমানে তালিবানদের সর্বশক্তিমান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী পরিষদ, রেহবারি শুরার প্রধান। কান্দাহারেরই বাসিন্দা সে। যে প্রদেশ থেকে জন্ম হয়েছিল তালিবানের। সেইসঙ্গে আখুন্দ তালিবান সশস্ত্র আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতাদেরও অন্যতম। গত ১৫ অগাস্ট কাবুল দখল করেছিল তালিবানরা। তারপর থেকে শোনা যাচ্ছিল, দোহায় থাকা তালিবানদের রাজনৈতিক প্রধান মোল্লা বরাদরই পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রদান হবেন। তবে, ই সরকার েকটি ভারপ্রাপ্ত সরকার। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নতুন সরকার ঘোষণা করা হতে পারে।