সংক্ষিপ্ত
এই বৈঠকে ইউক্রেনের চারটি অংশের উপর ইউক্রেনের অধিভুক্তি নিয়ে আলোচনা সভার ডাক দেওয়া হয় জাতিসঙ্ঘের তরফে। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাব ও একের পর এক হামলার জেরে বিধ্বস্ত কিয়েভ-সহ অন্যান্য শহরগুলি। তাই বিগত কয়েক মাস ধরে এই আলোচনা সভা স্থগিতই রাখা হয়েছিল।
'রাশিয়া একটি সন্ত্রাসবাদী দেশ।' জাতিসংঘের সোমবারের বৈঠকে সরাসরি রাশিয়াকে তোপ দাগল ইউক্রেন। প্রতিবেশি দেশ ইউক্রেনের ওপর নৃশংস হামলার পর সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। এই বৈঠকেই রাশিয়ার পদক্ষেপের নিন্দায় সরব হয় ইউক্রেন।
এই বৈঠকে ইউক্রেনের চারটি অংশের উপর ইউক্রেনের অধিভুক্তি নিয়ে আলোচনা সভার ডাক দেওয়া হয় জাতিসঙ্ঘের তরফে। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাব ও একের পর এক হামলার জেরে বিধ্বস্ত কিয়েভ-সহ অন্যান্য শহরগুলি। তাই বিগত কয়েক মাস ধরে এই আলোচনা সভা স্থগিতই রাখা হয়েছিল।
জাতিসঙ্ঘের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়্যাস বলেন, "ইউক্রেন ফের একবার প্রমাণ করল যে, এটি একটি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র।" উল্লেখ্য তাঁর নিজের পরিবারও রাশিয়ার হামলার বলি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "দুর্ভাগ্যবশত, আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তির জন্য, একটা শুভবুদ্ধি সম্পন্ন স্থিতিশীলতাকে আহ্বান জানাব না যতক্ষণ না অস্থিতিশীল ও উন্মাদ একনায়কতন্ত্র আমাদের ঘিরে ধরবে।" শুধু তাই নয় সদস্য দেশগুলিকে তিনি আরও জানান, রাশিয়ার হামলায় ইতিমধ্যে নিহত হয়েছেন ১৪ জন এবং আহত হয়েছে ৯৭ জন। তিনি আরও বলেন, "আমরা যখন ইউক্রেনের ভাই-বোনেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছিলাম তখনও উলটে আমাদেরকেই অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
এদিন সাধারণ পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস রাশিয়ার হামলাকে 'যুদ্ধের অগ্রহণযোগ্য তীব্রতা বৃদ্ধি' বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ হামলার তীব্র নিন্দা করে পুতিনের আগ্রাসী পদক্ষেপকে 'বর্বরতা প্রদর্শন' বলে উল্লেখ করেছেন।
অন্যদিকে সম্প্রতি একটি বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মস্কো-অধিভুক্ত ক্রিমিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। এই ঘটনার প্রতিশোধ আরও 'কঠোর' হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।