সংক্ষিপ্ত
তিন সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে চলছে কৃষক বিক্ষোভ
তার থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে পাকিস্তানে হবে সার্জিকাল স্ট্রাইক
এরকমই দাবি করলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি
উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে পাক সেনাবাহিনী
তিন সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে চলছে কৃষক বিক্ষোভ। তার থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে কি নরেন্দ্র মোদী সরকার পাকিস্তানে আরও একটি সার্জিকাল স্ট্রাইক করার পরিকল্পনা করছে? শুনতে বিস্ময়কর লাগলেও, শুক্রবার এরকমই দাবি করেছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি।
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে গিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী। শীর্ষস্থানীয় পাক সংবাদমাধ্যম 'ডন'-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী আমিরশাহিতেই এক সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন কুরেশি বলেছেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে নাগরিকদের দৃষ্টি সরাতে ভারত সরকার নাকি পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইক করার পরিকল্পনা করছে। পাকিস্তানের গোয়েন্দারা তাঁকে ভারতের এই পরিকল্পনার নকশা সম্পর্কে জানিয়েছে। আপাতত মোদী সরকার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বন্দুদেশগুলির কাছ থেকে পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার জন্য স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করছে।
শাহ মাহমুদ কুরেশি দাবি করেন, বর্তমানে ভারতে বেশ বড়সড় বিভাজন দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় ভারত সরকার নাকি ভাবছে পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইক-এর মতো পদক্ষেপ, দেশকে আবার ঐক্যবদ্ধ করবে, এবং চলমান কৃষক বিক্ষোভসহ অন্যান্য 'গুরুতর অভ্যন্তরীণ সমস্যা' থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে সহায়তা করবে। পাক সংবাদমাধ্যমে আরও বলা হয়েছে ভারতের সম্ভাব্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সম্পর্কিত তথ্য পেয়ে পাক সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ভারত দুইবার পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির শিবিরে সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছে। উড়ি হামলার পরই ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়েছিল। তারপর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী হামলার জবাব দিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে অবস্থিত জৈশ-ই-মহম্মদ'এর জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। দুইবারই অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান।