সংক্ষিপ্ত
- টুইটার কিলারকে সাজা দিল জাপান
- আদালতে ছিল ৪০০ মানুষের ভিড়
- ৯ জনকে হত্যা করেছিল অপরাধী
- টুইটার কেন্দ্র করেই খুন করা হত
হত্যা করার জন্য টুইটারে ফাঁদ পেতে বসে থাকত। কোনও ব্যবহারকারী যদি আত্মহত্যার কথা বলত তাহলে সেই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিন্দু মাত্র দেরি করত না তাকাহিরো শিরাইশি। ৩০ বছরের এই যুবক জাপানিদের কাছে এখন টুইটার কিলার নামেই পরিচিত। পরপর ৯ জনকে খুন করার অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জাপানের এক আদালত। একটি সূত্র জানাচ্ছে তারাহিরো শিরাইশি যাদের খুন করছে তাদের মধ্যে একজন বাদে সকলেই কিশোরী বা তরুণী। ১৫-১৯ এর মধ্যে বয়স।
আদালতে সওয়াল জবাবের সময় অপরাধী ৯ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সে জানিয়ে, যাদের সে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে খুন করেছে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মে আত্মহত্যার পথ খুঁজতে এসেছিল। মৃত্যুতে তাদের সম্মতি ছিল। সে শুধুমাত্র তাদের সাহায্য করেছিল বলেও দাবি করেছে। কিন্ত তদন্তে দেখা গেছে নিহতরা কেউই মৃত্যুতে সম্মতি দেয়নি। বিচারকের পর্যবেক্ষণ ছিল ৯টি তাজা প্রাণ শেষ করেদিয়েছে তাকাহিরো। এটিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েচে। তার সেই কারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বই নিয়ে প্রকাশ্যে পারিবারিক বিবাদ, ভাই-বোনের মধ্যে মধ্যে চলছে ট্যুইট যুদ্ধ ...
দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারত সফরে জনসন, মোদীর আমন্ত্রণ গ্রহণ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ...
তদন্তকারীরা জানাচ্ছে তাকাহিরোর মূল টার্গেট ছিল মানসিকভাবে দুর্ব কিশোরা বা তরুণীরা। ট্যুইটারে কেউ আত্মহত্যার কথা বললেই সে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আত্মহত্যায় সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি সে নিজেও আত্মহত্যা করার কথা বলে আশ্বস্ত করতে। তারপর বাড়িতে ডেকে আনত শিকারকে। বাড়িতে ডেকে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে খুন করতে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে সে প্রথম খুনটি করেছিল। ৯টি খুনের পরই সে ধরা পড়ে যায়। বর্তমানে জাপানে তার নাম হয় টুইটার কিলার। মঙ্গলবার জাপানের একটি আদালত সাজা ঘোষণা করে। আর তা দেখতে ৪০০-এর বেশি মানুষ ভিড় জমিয়েছিল। যাদের মধ্য়ে অনেকেই ছিল নিহতের আত্মীয়। তাকাহিরোর বাবা জানিয়েছে সে তার সন্তানকে কোনও দিনই ক্ষমা করতে পারবে না।