সংক্ষিপ্ত

পোল্যান্ড সীমান্তে এসে জড়ো হয়েছেন খারকিভের সেই পড়ুয়ারা। ভারতে ফেরার আশায় দিন গুনছেন, দিন গুনছেন কবে চেনা মুখগুলো দেখতে পাবেন।

একটা সময় মনে হয়েছিল, তারা হয়ত আর ফিরতে পারবেন না। খারকিভ তখন জ্বলছে। হামলা করেছে রুশ সেনা। আর বাঙ্কারের তলায় (Under the bunker) বিনিদ্র রাত (Night) কাটছে ভারতীয় পড়ুয়াদের (Indian Students)। এশিয়ানেট নিউজের (Asianet News) প্রতিনিধি (Reporter) পৌঁছেছিলেন তাদের কাছে। এক্সক্লুসিভ কিছু কথা (Exclusive Interview) উঠে এল আমাদের প্রতিবেদনে। ভারতীয় পড়ুয়ারা জানালেন খারকিভে কীভাবে দিন রাত কাটিয়েছেন তাঁরা। 

পোল্যান্ড সীমান্তে এসে জড়ো হয়েছেন খারকিভের সেই পড়ুয়ারা। ভারতে ফেরার আশায় দিন গুনছেন, দিন গুনছেন কবে চেনা মুখগুলো দেখতে পাবেন। কবে যুদ্ধের ভয়াবহ রাত কাটিয়ে নতুন সকাল আসবে। কবে ভারতে ফেরার বিমানে চড়ে দেশের মাটিতে পা রাখবেন। সেই সময় হয়ত আসন্ন, তবে এশিয়ানেট নিউজের প্রতিনিধিকে ভারতীয় পড়ুয়ারা খারকিভে কাটানো দিনগুলোর যে বর্ণনা দিয়েছেন, তার কোনও বর্ণনা হয় না। ভারতীয় পড়ুয়ারা জানিয়েছেন রুশ সেনা শহরে হামলা করার পর থেকেই তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন একটা বাঙ্কারে। 

কেমন ছিল বাঙ্কারে কাটানো দিনগুলো

সেদিনগুলো কথা মনে করতেই শিউরে উঠছিল পড়ুয়ারা। তাঁরা এশিয়ানেট নিউজকে জানিয়েছিল জল নেই, খাবার নেই। মাটিতে শোওয়ার ব্যবস্থা। তাও কর্দমাক্ত। তার মধ্যেই কোনওরকমে মাথা গুঁজে পড়ে থাকা। প্রাণটা যেন বাঁচে, সেই আশায়। ইন্টারনেট পরিষেবা নেই, নেই বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনও রাস্তা। তবু কোনও ক্রমে নিজেদের খবরটুকু পৌঁছে দেওয়া যে বেঁচে আছি। 

এরপর পোল্যান্ড সীমান্তে এসে পৌঁছন ওই পড়ুয়াদের দল। মেলে সাহায্য। মেলে খাবার, জল, বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করার পরিষেবা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন স্বেচ্ছাসেবকরা। এরপর প্রতীক্ষা। বাড়ি ফেরার, জীবনে ফেরার, স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার প্রতীক্ষা। চেনা মানুষগুলোর কাছে নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরার প্রতীক্ষা।  

এদিকে, কয়েক সপ্তাহের সামরিক তৎপরতার পর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। এই হামলা এখন ১২ তম দিনে পড়েছে। এদিকে, এখনও পর্যন্ত রুশ সেনাকে প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেনের মাটি আঁকড়ে পড়ে রয়েছন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr zelensky)। তিনি যুদ্ধের ইউক্রেন ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাবেন না, তা আগেই ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন কিয়েভে থেকেই রুশ সেনার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি। 

এর আগে, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জোরদার করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলির কাছে আবেদন জানিয়ে তার জনগণকে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। রবিবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, "রাশিয়ার সাহসিকতা পশ্চিমের কাছে একটি স্পষ্ট সংকেত যে রাশিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি যথেষ্ট নয়।"