এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট  ম্যাচের পর থেকেই  লিসেস্টারশায়ারে মাথা চাগাড় দিয়ে ওঠে সাম্প্রদায়িকতা।হার সজ্য করতে না পেরেই সশস্ত্র মুসলিমরা রীতিমতো হামলা চালায় হিন্দু পরিবারগুলির উপর ।

সাম্প্রদায়িকতা ছোয়াচে রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে দেশে বিদেশে। আগের বছর দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির ভেঙে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের যে ঘটনা আমরা শুনেছিলাম তাতে স্তব্ধ হতে হয়েছিল আমাদের।কিছুদিন আগেও কানাডার স্বামীনারায়ান মন্দিরের গায়েও ইহুদী জিহাদিরা যেভাবে হিন্দু বিরোধী কথা লিখেছিলো তা নিয়েও রীতিমতো শোরগোল পরে গেছিলো আন্তর্জাতিক মহলে। এরকম হিন্দুবিরোধী কার্যকলাপ আবারও দেখা গেলো লাইসেস্টারে। রবিবার লিসেস্টারশায়ারের মুসলিম ধর্মান্ধদের দেখা গেলো প্রকাশ্যে গেরুয়া পতাকা পোড়াতে।

Scroll to load tweet…

 গত ২৪ শে আগস্ট এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচের পর থেকেই লিসেস্টারশায়ারে মাথা চাগাড় দিয়ে ওঠে সাম্প্রদায়িকতা। ম্যাচে হেরে যাবার পর প্রতিহিংসাপরায়ণ কিছু সশস্ত্র মুসলিম রীতিমতো হামলা চালায় হিন্দু পরিবারগুলির উপর। লিসেস্টারশায়ারের একটি জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী বিক্ষুব্ধ ইসলামপন্থীরা শিশুসহ হিন্দুদের অপহরনেরও চেষ্টা করে সেদিন। গাড়ি এবং অন্যান্য হিন্দু মালিকানাধীন সম্পত্তিগুলিও দখল করে এই ইসলামবাদীরা। ভাঙচুর করে ভেঙে ফেলা হয় হিন্দুদের বাড়ি ঘরও।

Scroll to load tweet…

ইসলামপন্থীদের এই সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নামে লিসেস্টারশায়ারের হিন্দুরা। তাদের এই বিক্ষোভ থামাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় লিসেস্টারশায়ারের পুলিশকে। লিসেস্টারশায়ারের পুলিশ তাদের এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানায় যে গতকাল সন্ধ্যে ও আজ সকাল থেকে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে পুরো লিসেস্টারশায়ার জুড়ে তাতে পুলিশ বাধ্য হয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতার উপর অতর্কিত লাঠিচার্জ করতে। এখনো পর্যন্ত মোট ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশসূত্রে খবর । লিসেস্টারশায়ার পুলিশ সোমবার তাদের এক সাম্প্রতিক অফিসিয়াল আপডেট এ বলেছে যে পূর্ব লিসেস্টারের এই সাম্প্রদায়িক ব্যাধি রোধ করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছেন তারা। অতিরিক্ত বিশৃঙ্খলা বন্ধ করার জন্য পার্শবর্তী শহরের পুলিশবাহিনীও মোতায়েন করা হচ্ছে। অভিযানের সময় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তারা এখনও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতেই আছে। 

বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ আধিকারিকরা আগে থেকেই খবর পেয়েছিলেন যে রবিবার বিকেলে শহরের নর্থ ইভিংটন এলাকায় একদল যুবক জড়ো হবে ও সেখান থেকে তারা একটি প্রতিবাদ মিছিল বার করবে । অফিসাররা এক মুহূর্তও দেরি না করে তাদের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করেন এবং অস্থায়ী পুলিশ দিয়ে তাদের মিছিল পন্ড করার যথাযথ ব্যবস্থাও নেন। এই অসহিংস বিক্ষোভের প্রভাব পরেলিসেস্টারশায়ারের স্থানীয় বাসিন্দাদের উপরও পড়েছে । তাদের স্বাভাবিক জীপনযাপন প্রচন্ডভাবে বিঘ্নিত হয়েছে ।

Scroll to load tweet…

লিসেস্টারশায়ার পুলিশের আরেকটি টুইটে বলা হয়েছে, " আপনাদের অনুরোধ করছি আপনারা দয়া করে সামাজিক মাধ্যমগুলিতে সেই তথ্যই শেয়ার করুন যেটা আপনারা জানেন। কোনোরকম কোনো ভুল তথ্য দিয়ে মানুষজনকে বিভ্রান্ত করবেন না " এমনকি টুইটে তারা ও লেখেন যে প্রশাসন ব্যবস্থার অংশ হিসাবে তাদের কর্তব্য শহরের শান্তি বাজার রাখা। তাই তারা কোনোভাবেই এই অসহিংসুতা সহ্য করবেন না।