বিমানের চাকা ধরেই দেশ ছাড়ার মরিয়া প্রচেষ্টা করেছিলেন দুই আফগান নাগরিক। বিমানটি উড়তেই মাঝ আকাশ থেকে পড়ে মৃত্যু হল তাঁদের।  

ভয়ঙ্কর ঘটনা বললেও কম বলা হয়। তালিবানদের ভয়ে দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে অনেক আফগান নাগরিকই যেভাবে হোক বিমানে একটা জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। অবস্থা এমনই যে অনেকে বিমানের জানলা এমনকী চাকা ধরে ঝুলেও চলে যেতে চাইছেন। আর এই করতে সোমবার গিয়ে মাঝ আকাশ থেকে পড়ে মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির, এমনটাই দাবি করেছে বেশ কয়েকটি আফগান সংবাদমাধ্যম। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভয়ঙ্কর ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। 

ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে উঠে আসছে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি কার্গো বিমান। বিমানটি অনেক উপরে উঠে যাওয়ার পর সেখান থেকে পর পর দুই ব্যক্তিকে পড়ে যেতে দেখা গিয়েছে। তারা বিমানের ঠিক কোথায় ছিলেন, তা অবশ্য স্পষ্ট জানা যায়নি। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে তারা নিজেদের বিমানটির চাকার সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়েছিলেন। কোখাও আবার দাবি করা হয়েছে বিমানের ডানা বা জনলা ধরে ঝুলে দেশ ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন ওই হতভাগ্য দুই ব্যক্তি। আবার এক জায়গায় দাবি করা হয়েছে, তাঁরা পড়ে যাননি, তাঁদের বিমান থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। 

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

রবিবার কাবুলের দখল করে নিয়েছে তালিবানরা। প্রাণ বাঁচাতে রাষ্ট্রপতির পদে ইস্তফা দিয়ে বিমানে করে পালিয়েছেন আশরাফ ঘানিও। তাজিকিস্তানে নামতে চেয়েছিলেন, সেই দেশ অনুমতি না দেওয়ায় আপাতত ওমানে আছেন, এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেবেন বলে জানা গিয়েছে। বস্তুত, আফগানিস্তানে দেশ ছাড়ার এমন হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে যে কাবুল বিমান বন্দরে এখন কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়। যতটুকু সহায় সম্বল নেওয়া সম্ভব, তা হাতে নিয়েই সকলে ভিড় জমিয়েছেন বিমানবন্দরে। কলকাতায় বাদুড়ঝোলা বাসের মতো চেহারা হচ্ছে একেকটি বিমানের, সে যাত্রীবাহীই হোক কি মালবাহী। তালিবানল্যান্ড ছাড়ার হুড়োহুড়িতে বিমানবন্দরে পদপিষ্ট হয়েও মৃত্যু হয়েছে বেশ কযেকজনের।