সংক্ষিপ্ত
- মলদ্বীপ সফরে নরেন্দ্র মোদী
- মলদ্বীপে গিয়ে সেখানকার পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন মোদী
- প্রতিরক্ষা খাতে একাধিক কর্মসুচী গড়া তোলার কথা রয়েছে
- কী হবে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ শেষে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন মলদ্বীপে। সেখানে প্রতিরক্ষা খাতে একাধিক কর্মসুচী গড়া তোলার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত মলদ্বীপের তৎকালীর রাষ্ট্রপতি আবদুল্লা ইয়ামেন-এর সময়ে ভারত এবং মলদ্বীপের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। তবে বর্তমান রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহ-র সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দৌলতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেকটাই শান্তিপূর্ণ হবে বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল।
দুই রাষ্ট্রের যৌথ বৈঠকে দুই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে। জানা গিয়েছে মলদ্বীপে গিয়ে সেখানকার পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন মোদী। দেখা করবেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সলিহর সঙ্গে। মলদ্বীপ সরকারের ‘অর্ডার অফ নিশানিজুদ্দিন’ সম্মান দিয়েও তাঁকে সম্মানিত করা হবে বলে খবর। জানা গিয়েছে, এ বারের সফরে দুই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একজোড়া প্রতিরক্ষা প্রকল্প গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মলদ্বীপে তৈরি করা হবে ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং কোচি থেকে মলদ্বীপ পর্যন্ত চালু করা হবে ফেরি পরিষেবাও। দুদেশের যোগাযাগ ব্যবস্থাকে আরও পোক্ত করে তোলার জন্য প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এই ফেরি পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দুদিনের বিদেশ সফরে মলদ্বীপের পর মোদী পাড়ি দেবেন শ্রীলঙ্কায়। টুইট করে তিনি জানান, প্রতিবেশীদেশগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্যই তাঁর এই বিদেশ সফর। তাঁর দাবি, সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক সুদঢ় করার জন্য এই বিদেশ সফর অন্য মাত্রা যোগ করবে।