সংক্ষিপ্ত
দীর্ঘদিন চুপ করে বসে থাকার পর ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নামে বিশ্বকে নিজের শক্তির জানান দিতে চাইল পিয়ংইয়ং। শনিবার ও রবিবার দীর্ঘ পাল্লার ক্রুস মিসাইলের পরীক্ষা সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শান্তি হয়ত পছন্দ নয় উত্তর কোরিয়ার(North Korea) অবিসংবাদিত নেতা কিম জং উনের (kim jong un)। তাই হয়ত শক্তি পরীক্ষার নামে বৈশ্বিক স্থিতাবস্থাকে টালমাটাল পরিস্থিতিতে বারবার ফেলার চেষ্টা করেন তিনি। দীর্ঘদিন চুপ করে বসে থাকার পর ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নামে বিশ্বকে নিজের শক্তির জানান দিতে চাইল পিয়ংইয়ং। শনিবার ও রবিবার দীর্ঘ পাল্লার ক্রুস মিসাইলের (long-range cruise missiles) পরীক্ষা সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
গত মাস ধরে কোনও রকম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেনি উত্তর কোরিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনার পর থেকে সেভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পথে হাঁটেনি পিয়ংইয়ং। তবে চুপ করে যে তারা বসে ছিল না, এই পরীক্ষাই তার প্রমাণ।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি সোমবার জানিয়েছে, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি, যা দুই বছর ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষার আওতায় ছিল, শনিবার ও রবিবার ফ্লাইট পরীক্ষার সময় সফলভাবে ১৫০০ কিলোমিটার অর্থাৎ ৯৩২ মাইল দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। তবে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সেনার তরফে উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
তবে উত্তর কোরিয়া নিজেদের সাফল্য নিয়ে বেশ পঞ্চমুখ। তাদের কাছে এই উৎক্ষেপণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। স্ট্র্যাটেজিক ওয়েপন হিসেবে এটিকে ব্যাখ্যা করেছে তারা। কিম জং উন জানুয়ারি মাসে ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির একটি কংগ্রেস চলাকালীন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও বিশ্ব জোড়া চাপের মুখে দাঁড়িয়েও মাথা নোয়াননি। উল্লেখ্য, পরমাণু অস্ত্র বা ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করার ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কিন্তু ক্রুজ মিসাইল বানাতে কোনও বাধা নেই উত্তর কোরিয়ার। আগেও একাধিক ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া।
কিমের দাবি তাদের দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই ধরণের অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। ২০১৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিমের মধ্যে একটি বৈঠক ভেঙে যাওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে আলোচনা থমকে গিয়েছে। কিমের সরকার এখন পর্যন্ত আলোচনার জন্য বাইডেন প্রশাসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। ওয়াশিংটনের কাছে দাবি করা হয়েছে যে উত্তর কোরিয়ার স্বার্থ বিরোধী কোনও নীতি সামনে রেখে আলোচনা সম্ভব নয়।
উত্তর কোরিয়া মার্চ মাসে ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে এক বছরের বিরতির শেষ করে। সমুদ্রে দুটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।