সংক্ষিপ্ত

 রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ৭ মাস পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বুধবার  জনগণের সুরক্ষার্থে রীতিমতো হুমকি দিলেন পাশ্চাত্যের  দেশগুলোকে ।তিনি বলেন  পশ্চিমি যে দেশগুলো নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণের জন্য হুমকি দিচ্ছে রাশিয়াকে সেই  হুমকির পাল্টা জবাবে রাশিয়াও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।
 

প্রেসিডেন্ট পুতিন এবার প্রকাশ্যে অভিযোগ তুললেন যে পশ্চিমি দেশগুলো নাকি নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণের জন্য হুমকি দিচ্ছেন রাশিয়াকে।  এই হুমকির পাল্টা জবাবে তিনি এও বলেন যে এইভাবে পশ্চিমি দেশগুলো হুমকি দিতে থাকলে রাশিয়াও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।  তিনি রীতিমতো ভয় দেখিয়ে বলেন যে রাশিয়াও দুর্বল নয় তাই রাশিয়া নিজের জনগণের সুরক্ষার্থে যা যা করার সেই সমস্ত কিছুই করবে। মস্কো থেকে টেলিভিশনের মাধ্যমে  আংশিক সংহতির বার্তাও  দেন পুতিন । 


রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধকালীন পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যদি কেউ হয়ে থাকে তা হলো এই দুই দেশের  সাধারণ জনগণ।রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো তাদের মৃত সৈনিক সংখ্যা কত ? তা অফিসিয়ালি  ঘোষণা করা না হলেও,  ইউক্রনের মতো তারাও যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সে বলা বাহুল্য। এমনকি রাশিয়ার অনেক মানুষই   তাদের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য  পুতিনকে নিয়মিত দোষেন  ।   যুদ্ধের ৭ মাস পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বুধবার  জনগণের সুরক্ষার্থে রীতিমতো হুমকি দিলেন পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্রকারী দেশগুলোকে।  তিনি বলেন মস্কোয় এখন রীতিমতো আংশিক সংহতির মহড়া শুরু হয়ে গেছে। আর যে দেশের  পাল্টা প্রত্যুত্তর দেবার অস্ত্র আছে তারা কোনোরকম কোনো  পশ্চিমি ষড়যন্ত্রকেই আর ভয় পায়  না। 

বুধবার অপ্রত্যাশিত একটি টেলিভিশন- ভাষণে পুতিন বলেন পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়াকে ধ্বংস করতে চায় এবং ইউক্রনেও শান্তি চায় না তাই পুতিন সীমান্ত রক্ষা করার জন্য ২ মিলিয়ন সামরিক সেনা নিযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

পূর্ব  ও দক্ষিণে ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলিতে রাশিয়া প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে  যুক্ত হবার জন্য একটি  নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়।   ইউক্রেনে ক্রেমলিন সমর্থিত চারটি জেলা দখলের যে পরিকল্পনা করেছিল ইউক্রেন ,বহুদিন আগে,  তাতে তারা সফল হয় এবং এই সাফল্যই তাদের আত্মবিশ্বাস জোগায়  যে   মস্কর উপর তারা  সংঘাত হানতে  পারবে।  

এদিনের এই টেলিভিশন বক্তৃতায় পুতিন বলেন যে "যারা আমার  দেশের সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ছড়াচ্ছেন  আমি তাদেরকে  মনে করিয়ে দিতে চাই যে আমাদের দেশেও ধ্বংস করার  বিভিন্ন  সরঞ্জাম রয়েছে এবং অন্যান্য  ন্যাটো দেশগুলির তুলনায় আমরা অনেকটা বেশিই  উন্নত ও আধুনিক।   যখন আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা  বিপন্নের  মুখে পড়ে, তখন রক্ষা করার জন্য রাশিয়া এবং তার  জনগণ,  নিষ্পত্তির ঠিক  উপায় বার করবেই  ,” 

তিনি যোগ করেছেন: "এটি একটি ব্লাফ নয়।"

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সচিব, বেন ওয়ালেস এমপি, পুতিনের হুমকির  দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেন।  তিনি জানান যে ,  যে দেশ তাদের নিজেদের জনগণকে কিছু সময় পর পরই ইউক্রনে পাঠাতে থাকে ,তাদের এই কার্যক্রমই প্রমান করে যে তারা ইউক্রেনকে  আক্রমণ করতে কার্যত  ব্যর্থ।  আর ইউক্রেনের কিছু অংশকে  অবৈধভাবে রাশিয়ার সাথে যুক্ত করে পুতিন তার প্রতিশ্রুতি ভেঙেছেন।  রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তাদের হাজার হাজার নাগরিকদের ইউক্রেনে পাঠিয়ে  মূলত তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।