সংক্ষিপ্ত
পিপলস লিবারেশন আর্মি প্রস্তুত হচ্ছে কড়া শীত মোকাবিলার জন্য। এজন্য সীমান্ত ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে বিশেষ শীতকালীন কোয়ার্টার।
চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি(People's Liberation Army) প্রস্তুত হচ্ছে কড়া শীত মোকাবিলার জন্য। এজন্য সীমান্ত ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে বিশেষ শীতকালীন কোয়ার্টার(special winter quarters)। যাতে হাড় হিম করা শীতেও নিরাপদে থাকতে পারে চিনা সেনা জওয়ানরা। লাদাখ তিব্বত এলাকায়(Ladakh-Tibet area) এই কোয়ার্টার তৈরি করা হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে গালওয়ান এলাকা, প্যাংগং লেক ও গোগরা এলাকায় চিনে সেন পিছু হঠলেও, হট স্প্রিংস এবং ডিপসাংয়ে এখনও চিনা সেনা অবস্থান রয়েছে।
চিনা সেনার পদাতিক ডিভিশনের জন্য পশ্চিম তিব্বতে বিশেষ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত বাঙ্কার পাওয়ার খবর মিলেছে। বাংকারের ভিতরে একটি প্লাটুন বা ৪০ থেকে ৫০ জন সৈন্য থাকতে পারে। এই বাঙ্কারের ভিতরে দিনের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে। ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে। শীতকালে এই ধরনের অঞ্চলে তাপমাত্রা -২০ ডিগ্রিতে নেমে আসে।
বাঙ্কারগুলিতে শারীরিক প্রশিক্ষণ এবং বিনোদনের জন্য একটি এলাকা রয়েছে। ট্রেডমিল, গেম কনসোল, দাবা বোর্ড এবং কার্ড টেবিল রয়েছে। অন্যদিকে ভারত ইতিমধ্যেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সেনা জওয়ানদের জন্য এরকম শিবির তৈরি করেছে।
এরই সঙ্গে মজুত করা হচ্ছে অস্ত্র। অত্যাধুনিক অস্ত্রের সম্ভার মজুত রাখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। অস্ত্র সম্ভার বাড়াতেও উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় বাহিনী। আর সেই দিকেই নজর রেখে প্যাংগং লেকে নজরদারি চালানোর জন্য লম্বা পরিসরের উন্নত প্রযুক্তির ১০-১৫টি হেরন ইউএভি ও ২০-২৫টি মাল্টি কপ্টার সংগ্রহের ওপর জোর দিচ্ছে বলেও সেনা সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী হেরন ড্রোন, এএলএইচ ধ্রুব হেলিকপ্টার এবং তার অস্ত্রযুক্ত সংস্করণ রুদ্র ব্যবহার করছে যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) বরাবর চিনা বাহিনীর কার্যকলাপের উপর নজর রাখবে। পিপলস লিবারেশন আর্মির গতিবিধি ওপর নজর রাখার জন্য সেনা উচ্চমানের ক্যামেরা এবং সিনথেটিক অ্যাপারচার রাডার স্থাপন করেছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখার উত্তরে এলএসি ছাড়াও সিয়াচেন সিয়াচেন হিমবাহে মোতায়েন করা হয়েছে ইজরায়েলি স্পাইক অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল, দূরপাল্লার নজরদারি ক্যামেরা ও ছোট আকারের অ্যাম্বুলেন্স। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশাপাশি চিনা সেনারও ওপরন কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারত।