সংক্ষিপ্ত
- ব্রিকস-এর রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর
- সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন ও আর্থিক মন্দা-য় সওয়াল
- জাতিবাদের নামে হওয়া সন্ত্রাস মোকাবিলায় আহ্বান মোদীর
- সন্ত্রাস আর্থিক উন্নয়ন ও সামাজিক স্থিতি-র পক্ষে অন্তরায় বলেও দাবি
জি২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য দু'দিনের ওসাকা সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে আজ তাঁর বৈঠকের কর্মসূচিও রয়েছে। কিন্তু তার আগে ব্রিকস-এর শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে বক্তব্য রাখার সময়ে তিনি যে বিষয়গুলির উপরে বিশেষ করে আলোকপাত করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ুর পরিবর্তন, বিশ্ব জুড়ে চলতে থাকা আর্থিক মন্দা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ুর পরিবর্তন, বিশ্ব জুড়ে চলতে থাকা আর্থিক মন্দা-এই তিনটি বিষয়ই সারা বিশ্বের কাছে এই মুহূর্তে মূল মোকাবিলার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদ ও জাতিবাদ প্রসঙ্গেও এদিন সরব হন মোদী। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে জাতিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। আর এর জন্য আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে সহযোগীতারও প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন মোদী।
সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে মোদী বলেন, সন্ত্রাসবাদ মানবজাতির জন্য একটি ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদ কেবল নিরীহ মানুষের প্রাণই কেড়ে নেয় না, সেইসঙ্গে একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি এবং সামাজিক সুস্থিতিও ব্যহত করে। আর এই কারণেই সন্ত্রাসবাদ অবিলম্বে বন্ধ করার ডাক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে শুক্রবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুৎ চান-ও-চা, দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা মুন জায়ে-ইন, সোশ্য়ালিস্ট রিপাবলিক অব ভিয়েতনাম গুয়েন শুয়ান ফুক, জার্মান চ্যান্সেলার অ্যাঙ্গেলা মার্কেল-এর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। এর পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস-এর সঙ্গেও আলোচনায় বসার কথা রয়েছে তাঁর।
শুক্রবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকও করেন মোদী। এছাড়াও জি২০ সম্মেলনের পাশাপাশি সৌদি আরবের 'ক্রাউন্ড প্রিন্স' মহম্মদ বিন সলমন-এর সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন তিনি।