সংক্ষিপ্ত
ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর ও বিমানঘাঁটি রুশ হামলার তছনচ হয়ে গেছে। গত ১১ দিন ধরে রাশিয়া ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের ওপর। কিয়েভের অভিযোগ রাশিয়ার গোলা-গুলির হামলা ছাড়াও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও হামলা চালিয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine war) ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। যুদ্ধের ১১দিনে (11 days) সামনে এল রুশ হামলার একট ভয়ঙ্কর ভিডিও। ভিডিওর সত্যতাও স্বীকার করে নিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr zelensky)। রবিবার তিনি বলেছেন রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের (Russ Missile) একটি ব্যারেজ মধ্য ইউক্রেনের ভিন্নিতসিয়ায় একটি বেসামরিক বিমানবন্দর (Airport) ধ্বংস করে দিয়েছে। ভিন্নিসিয়াতে রুশ সেনা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন মাত্র আটটি রকেট বিমানবন্দরটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর ও বিমানঘাঁটি রুশ হামলার তছনচ হয়ে গেছে। গত ১১ দিন ধরে রাশিয়া ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের ওপর। কিয়েভের অভিযোগ রাশিয়ার গোলা-গুলির হামলা ছাড়াও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও হামলা চালিয়েছে। ভিন্নিতসিয়া মধ্য ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর। এটি রাশিয়া ও বেলারুশ সীমান্ত থেকে অনেকটা দূরে রয়েছে। তাই এই শহরে এর আগে এমন ভয়াবহ হামলা দেখা যায়নি। এটাই এই শহরে প্রথম বড় হামলা বলেও মনে করছে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত জেলেনস্কি এখনও আমেরিকা ও ন্যাটোর কাছে ইউক্রেনের আশাকে নো-ফ্লাই জোন লাগু করার দাবিতে অনড় রয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের আকাশে যদি নো-ফ্লাই জোন লাগু করা হয় তাহলে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান হামলা অনেকটাই কমে যাবে। এদিন জেলেনস্কি কিছুটা ক্ষোভের সঙ্গেই বলেছেন ইউক্রেনকে ধীরে ধীরে হত্যা করা হোক তেমনই চাইছে অনেকে। কিন্তু ইউক্রেন এখনই রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
গতকালই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেছেন ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে এটি করা পুরোপুরি অসম্ভব। তবে এটি অন্যান্য দেশ এই অবরোধ করতে পারে। কিন্তু এই ধরনের কোনও পদক্ষেপই রাশিয়া বরদাস্ত করবে না। অন্য কোনও দেশ যদি ইউক্রেনের ওপর নো ফ্লাই জোন আরোপ করে তাহলে রাশিয়া সশস্ত্র সংঘাতের পথেই হাঁটবে। তিনি আরও বলেন এজাতীয় পদক্ষেপ রুশ সেনাদের কাছে একটি হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেছেন এজাতীয় পদক্ষেপ যদি অন্য কোনও দেশ নেয় তাহলে রাশিয়া সেকেন্ডের মধ্য়েই সেই দেশের সঙ্গে যুদ্ধে জড়়িয়ে পড়বে। সংশ্লিষ্ট দেশটি কোন দেশের সদস্য তা নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনা করবে না।
সূত্রের খবর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ন্যাটোকে তাদের দেশের ওপর নো ফ্লাই জোন আরোপ করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু ন্যাটো এখনও পর্যন্ত তাতে মত দেয়নি। ন্যাটো স্পষ্ট করে দিয়েছে এই পদক্ষেপ নিলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হবে। যা আরও বড় যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উস্কে দেবে। অন্যদিকে পুতিনও রীতিমত হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন এজাতীয় কোনও পদক্ষেপ শুধু ইউরোপ নয় বিশ্বের জন্য ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ডেকে আনবে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমের দেশগুলির নিষেধাজ্ঞাকে তিনি যুদ্ধ ঘোষণার মত করেই দেখছেন বলেও জানিয়েছেন।
যুদ্ধ বিরতির মধ্যেই রাশিয়ার হামলা, উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের
অফার শেষ হওয়ার আগেই পেট্রোল ট্যাঙ্ক ভরে নিন, পরামর্শ রাহুল গান্ধীর
'আমাদের কিছু হলে দায় সরকারের', যুদ্ধের ইউক্রেন থেকে ভিডিও পোস্ট করে হুঁশিয়ারি ভারতীয় পড়ুয়াদের